Katra Srinagar Vande Bharat: ট্রেনে রাইফেল-বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটে যাত্রী নিরাপত্তায় কমান্ডো, কাশ্মীরে স্পেশাল ব্যবস্থা

এবার মাত্র ৩ ঘণ্টাতেই বন্দে ভারতে চেপে কাটরা থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত পৌঁছনো যাবে। যা আগে সড়কপথে যেতে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা সময় লাগত। শুক্রবার কাশ্মীরে চেনাব নদীর উপর বিশ্বের সর্বোচ্চ ব্রিজ এবং অঞ্জি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সবুজ পতাকা দেখিয়ে যাত্রা শুরু করলেন কাটরা-শ্রীনগর বন্দে ভারত ট্রেনেরও। তবে এই বন্দে ভারত যেমন তেমন নয়, যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য এই ট্রেনে থাকবে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো। 

পহেলগাঁওতে জঙ্গিদের নির্বিচারে গুলিবর্ষণে ২৬ পর্যটকের হত্যার পর থেকে আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে কাশ্মীরে। প্রশ্ন উঠেছে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও। সে কারণেই এবার থেকে কাশ্মীরের এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে কমান্ডো রাখার সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের। 

এই কাটরা-শ্রীনগর রেলপথ ২৭২ কিলোমিটার লম্বা উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল লিঙ্কের অন্তর্গত। 

বন্দে ভারত ট্রেন যাত্রা শুরু হতেই কাশ্মীর দেশের বাকি অংশের সঙ্গে রেলপথে সংযুক্ত হল। তবে এই মুহুর্তে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত পরবর্তী পর্বে স্পর্শকাতর পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। 

জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যের এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে যাত্রী সুরক্ষায় বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। সে কারণেই এই ট্রেনে দেখা যাবে স্পেশাল ট্রেনিং প্রাপ্ত কমান্ডোদের। প্রতিটি কোচে থাকবেন দু'জন করে কমান্ডো। যাঁদের কাছে থাকে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। এছাড়াও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট এবং অন্যান্য হাইটেক গ্যাজেট থাকবে এই কমান্ডোদের কাছে। ভয়ের পরিবেশ কেটে যাত্রীদের মধ্যে ভরসা ফেরাতেই এই বন্দোবস্ত। 

সম্প্রতি গত ১৬ এপ্রিল, NSG জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং RPF-এর সঙ্গে রেল স্টেশনে ট্রেন সুরক্ষা অভ্যাস করেন। এই ট্রেনিংয়ের উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে মোকাবিলায় সুরক্ষাকর্মীদের একে অপরের সঙ্গে সম্বন্বয় এবং তৎপরতা বৃদ্ধি। NSG-র এই উদ্যোগ স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে যৌথ ভাবে জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে কাজে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। 

রেল আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এই ট্রেন হিমালয়ের কঠিন পরিস্থিতি যেমন -২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও ভিতরে থাকা যাত্রীদের উপর আঁচ পড়তে দেবে না। এমন ভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে এই ট্রেন। অটোমেটিক দরজা, হিটিং সিস্টেমের মতো হাইটেক প্রযুক্তি রয়েছে। এছাড়াও জার থাকবে অন্যান্য নানা সুরক্ষা প্রোটোকল। 

রেল বোর্ড কাটরা, রিয়াসি, সঙ্গলদান, বানিহাল, কাজিগুণ্ড, অনন্তনাগ এবং শ্রীনগরের মতো মুখ্য স্টেশনগুলিতে বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেবলমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিই নয় এই বন্দে ভারত ব্যবসায়িক প্রত্যাশাও পূরণ করবে।