রাহুল গান্ধীর 'ভোটার অধিকার যাত্রা'র পথে কাঁটা দলেরই একাংশ? এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে কুকথা কেন্দ্র করে বিতর্ক তো ছিলই। এবার কংগ্রেসের কেরল ইউনিটের 'বিহার-বিড়ি' মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তুলকালাম। বিশ্লেষকরা বলছেন, কংগ্রেসের দলীয় নেতাদের এমন বেঁফাস মন্তব্যে ক্রমেই পেনাল্টি খাচ্ছেন রাহুল।
শুক্রবার কংগ্রেসের কেরল ইউনিটের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ঘিরে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত। জিএসটি সংস্কার নিয়ে বলতে গিয়ে সেই পোস্টে বিহারকে বিড়ির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সামনেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই 'বিহার-বিড়ি' পোস্ট যে বিজেপির হাতে সরাসরি অস্ত্র তুলে দেওয়ার সামিল, তা বলাই বাহুল্য।
যদিও পরে কেরল কংগ্রেসের সেই বিতর্কিত পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়। তবে ততক্ষণে আসরে নেমে পড়ে বিজেপি-জেডিইউ। দুই দলের নেতারাই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিহারের জনগণকে অপমান করার অভিযোগ তুলেছেন।
'বিড়ির সঙ্গে বিহারের তুলনা'
জিএসটি সংস্কার নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে গিয়ে কংগ্রেসের কেরল ইউনিট একটি চার্ট পোস্ট করেছিল। সেখানে লেখা হয়, 'বিড়ি এবং বিহার, দু'টোই 'বি' দিয়ে শুরু হয়। ফলে এখন আর এটা 'সিন' গুডের ফেলা যাবে না।'
কংগ্রেসের কেরল ইউনিট এই টুইট করার সঙ্গে সঙ্গে বিতর্ক শুরু হয়। বিজেপি এবং জেডিইউ এটিকে বিহার এবং বিহারের মানুষের প্রতি অপমান বলে অভিহিত করেন।
বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর দাবি, এটি 'রাজ্যের অপমান'। তিনি বলেন, 'এর আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রয়াত মায়ের অপমান তো ছিলই। এখন এটি করে সমগ্র বিহারের অপমান করা হল। এটিই কংগ্রেসের আসল চরিত্র। দেশবাসীর সামনে ওদের মুখোশটা বারবার খুলে যাচ্ছে।'
কংগ্রেসের পোস্ট করা চার্টে বলা হয়েছে সিগার এবং সিগারেটের উপর কর ২৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। তামাকের উপর ২৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। বিড়ির উপর জিএসটি ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে। সিগারেটের উপর জিএসটি বাড়িয়ে বিড়ির উপর তা কেন কমানো হল, সেই প্রশ্নই তোলা হয়েছে।