কেরলে ফের নতুন করে বাড়ছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ। মে মাসের শুরু থেকে রাজ্যে মোট ১৮২ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। এই পরিস্থিতিতে তিনি সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশে ওমিক্রনের JN1 সাবভেরিয়েন্টের নতুন রূপ LF.7 এবং NB.1.8-এর সংক্রমণ বাড়ছে। হংকং, সিঙ্গাপুর-সহ বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'কেরালাতেও কোভিড বাড়তে পারে। যদিও রোগের তীব্রতা কম, তবু আত্মরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।'
কোন জেলায় কত সংক্রমণ?
মে মাসে কোট্টায়ামে সবচেয়ে বেশি, মোট ৫৭টি কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এরনাকুলামে ৩৪ জন, তিরুবনন্তপুরমে ৩০ জন এবং অন্যান্য জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে বাকি সংক্রমণগুলি।
সরকারের পদক্ষেপ:
রাজ্য র্যাপিড রেসপন্স টিমের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে।
লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিদের বেশি করে কোভিড পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালগুলিকে পর্যাপ্ত আরটিপিসিআর কিট মজুত রাখতে বলা হয়েছে।
হাসপাতালগুলিতে মাস্ক ও সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সর্বদা মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সাধারণ মানুষকে কী পরামর্শ দিলেন মন্ত্রী?
ঠান্ডা, কাশি, গলা ব্যথা বা শ্বাসকষ্টের উপসর্গ থাকলে অবশ্যই মাস্ক পরুন।
বয়স্ক, গর্ভবতী এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের ভিড় ও ভ্রমণের সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
অপ্রয়োজনীয়ভাবে হাসপাতালে না যাওয়ার পরামর্শ।
বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া দরকার।
সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে প্রোটোকল মেনে চিকিৎসা করাতে হবে।
অন্য স্বাস্থ্য ইস্যু
কনটেনমেন্ট জোনে আর নতুন নিপা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা না পড়ায় সেই জোন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কাজ চলবে আগের মতোই।
এদিকে বর্ষা আসার আগে রাজ্য সরকার ডেঙ্গু, লেপ্টোস্পাইরোসিস ও অন্যান্য পানিবাহিত রোগ নিয়েও সতর্ক। মাঝেমধ্যে বৃষ্টির কারণে রোগ ছড়াতে পারে বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। সেই কারণে মাঠ পর্যায়ে নজরদারি ও স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচি জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।