হিমাচল প্রদেশের কিন্নর দুর্ঘটনায় (Kinnaur Landslide) মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৩। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ২ বছরের শিশুও। ধ্বংসস্তূপে এখনও বেশকিছু মানুষের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। উদ্ধারও করা হয়েছ বেশকয়েকজনকে। উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে সেনা, আইটিবিপি, পুলিশ, এনডিআরএফ। এছাড়া উদ্ধারকার্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রাও।
ভূমিধসে ধ্বংসলীলা
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার। এদিন হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) ৫ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন পাহাড়ে বড়সড় ভূমিধসের সৃষ্টি হয়। ওপর থেকে ভেঙে পড়ে বড় বড় পাথরের চাঁই। একটি বাস ভেঙে পড়া পাথরের গ্রাসে চলে আসে। বাসটির কার্যত সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সেটিকে গভীর খাদের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পাশপাশি হিমাচল প্রদেশ থেকে উত্তারখন্ডে যাচ্ছিল আরও একটি বাস। ধসের কারণে আটকে পড়ে সেটিও। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও কনডাক্টরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও ২৫ জন সেই বাসটির মধ্যে আটকে রয়েছেন বলে খবর। একটি গাড়িও নদীতে পড়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দ্রুত ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছে।
আইটিবিপি জানাচ্ছে রেকংপিও-সিমলা হাইওয়েতে ৬-৭টি গাড়ি পরস্পরের মধ্যে ২০০ মিটারের ব্যবধান রেখে চলছিল। সেইসময় হঠাৎই পাহাড় থেকে খসে পড়তে শুরু করে পাথরের চাঁই। যার জেরে যাত্রীরা গাড়ি থেকে বেরনোর সময়টাও পাননি।
খসে পড়ছে পাথর
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছান আইটিবিপির জওয়ান ও পুলিশ কর্মীরা। পৌঁছায় এডিআরএফ দলও। শুরু হয় উদ্ধারকার্য। তবে পাহাড় থেকে পুনরায় পাথর খসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকী মাঝেমধ্যেই কিছু পাথর খসে পড়ছে বলেও জানা যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়েছেন মোদী-শাহ
এদিকে এই দুর্ঘটনার পরেই হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রের তরফে সমস্ত সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত এর আগে ২৫ জুলাই কিন্নরে ভূমিধসের কারণে ৯ জনের মৃত্যু হয়।