'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে সংসদের বাদল অধিবেশনে আলোচনায় রাজি কেন্দ্র। রবিবার সর্বদল বৈঠক শেষে এমনটাই জানিয়েছেন। বিরোধীদের লাগাতার দাবির মুখে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, 'কেন্দ্র কোনও ইস্যু নিয়েই লজ্জা পাবে না। যে কোনও বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। সংসদের অধিবেশন যাতে সুষ্ঠু ভাবে চলে, সেদিকে নজর রাখা হবে।'
কিরেণ রিজিজু জানিয়েছেন, 'অপারেশন সিঁদুর'-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত কেন্দ্র। তবে কেন্দ্র এবং বিরোধী পক্ষের মধ্যে যেন কোঅর্ডিনেশন বজায় থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে সকলকে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প কেন বারবার ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ থামানোর দাবি করছেন? এই মর্মে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করবে ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা, স্থির হয়েছে এমনটাই। বিরোধিদের এই স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কিরেণ রিজিজু বলেন, 'সংসদে এই নিয়ে আমরা ঠিক উত্তর দেব।'
যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সর্বদাই সংসদে উপস্থিত থেকেছেন এবং এবারেও থাকবেন বলে উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী।
এবারের সংসদ অধিবেশনে মোট ১৭টি বিল পেশ করতে চলেছে কেন্দ্র। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিতর্কের সুযোগ মিলবে বলে জানিয়েছেন কিরেণ রিজিজু। তিনি বলেন, 'মুক্ত হৃদয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত আমরা। তবে সংসদের নিয়ম এবং ঐতিহ্য মেনে চলি।'
রবিবারের সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ৫১টি রাজনৈতিক দলের ৫৪ জন সাংসদ।
প্রসঙ্গত, শনিবার কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর সভাপতিত্বে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক বসেছিল ভার্চুয়াল মাধ্যমে। দিল্লির ১০, জনপথ থেকে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও। মোট ২৪টি বিরোধী দলের নেতারা সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন, RJD নেতা তেজস্বী যাদব, CPIM সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবি সহ অন্যান্যরা। মূলত পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা, অপারেশন সিঁদুর, ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের দাবি এবং বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধনের মতো বিষয়গুলি নিয়ে সংসদে একযোগে আক্রমণ শানানোর পরিকল্পনা করেছে ইন্ডিয়া ব্লক।