'রাহুল গান্ধী যখন বলতে ওঠেন, তখন তাঁর দলের সাংসদরাই অস্বস্তিতে ভোগেন,' কটাক্ষ কিরেণ রিজিজুর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বারবার ভিত্তিহীন মন্তব্য করেন রাহুল। আর তাতে নাকি তাঁর দলীয় নেতৃত্বই চাপে পড়ছেন। রিজিজুর কটাক্ষ, 'যখন রাহুল গান্ধী কিছু বলেন, তাঁর দলের সাংসদরাই অস্বস্তিতে ভুগতে থাকেন। ভয়ে থাকেন, যদি আবার কিছু অসংলগ্ন কথা বলে ফেলেন! পরে দলকেই সেটা ভুগতে হয়।' সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিজিজু বলেন, 'প্রত্যেক গণতন্ত্রেই শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজন। কিন্তু কংগ্রেস বিরোধী দলের ন্যূনতম দায়িত্বটুকুও পালন করতে পারছে না। শক্তিশালী বিরোধী দলের তো প্রশ্নই আসছে না।'
কিরেণ রিজিজু আরও বলেন, 'রাহুল গান্ধী লোকসভার বিরোধী দলনেতা। আমি ওঁর ব্যাপারে সমালোচনা করতে চাই না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টও তাঁকে তিরস্কার করেছে। উনি প্রধানমন্ত্রীকে ‘চোর’ বলেছেন, রাফাল নিয়ে ভুল তথ্য ছড়িয়েছেন, আর দাবি করেছেন যে চিন নাকি আমাদের জমি দখল করেছে। ওঁকে আগে ভারতীয়দের মতো করে কথা বলতে হবে। আমি ওঁকে শোধরাতেও পারব না, উনি কারও কথা শোনেনই না।'
বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, রাহুলের লাগাতার আক্রমণাত্মক ও মন্তব্যে ক্রমশ অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে কংগ্রেসে। বিজেপির দাবি, সংসদে রাহুল গান্ধীর প্রতিটি বক্তব্যের পরে তাঁর সহকর্মীরা বিব্রত বোধ করেন।
রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে রিজিজুর অভিযোগ, দেশের ক্ষতি করতে বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন রাহুল। তাঁর বক্তব্য, 'রাহুল গান্ধী এক বিপজ্জনক পথে হাঁটছেন। জর্জ সোরোস বলেছিলেন, ভারত সরকারকে অস্থির করে তুলতে এক ট্রিলিয়ন ডলার রেডি করে রাখা আছে। কানাডা, আমেরিকা, ব্রিটেন সহ বিভিন্ন দেশে বসে থাকা খালিস্তানি গোষ্ঠী ও বাম সংগঠনগুলিও দেশবিরোধী চক্রান্ত করছে। রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস তাঁদের সঙ্গে তাল মেলাচ্ছে। এসবের মাধ্যমে দেশকে দুর্বল করে তুলছে।'
তুঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতা
কিরেণ রিজিজুর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দিল্লিতে তুঙ্গে রাজনৈতিক উত্তেজনা। বিজেপির অভিযোগ, বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালন না করে কংগ্রেস নেতারা দেশবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে, কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত রিজিজুর অভিযোগের কোনও আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়নি।
বিজেপির তোপ
রিজিজুর মতে, 'রাহুল গান্ধীর বক্তব্যে শুধু যে তাঁর দলেরই ক্ষতি হচ্ছে তা নয়, বরং দেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। গণতন্ত্রে শক্তিশালী বিরোধী দল অতি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কংগ্রেস সেই ভূমিকায় ব্যর্থ।'
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, লোকসভায় বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যে সরগরম হতে পারে জাতীয় রাজনীতি।