বিজেপির নীতিন নবীনবিহার সরকারের মন্ত্রী নীতিন নবীনের উপর এখন বিরাট দায়িত্ব। বর্তমানে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি-এর সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি। আর বছর ৪৫-এর নীতিনকে এত বড় দায়িত্বে নিয়ে আসার পর থেকেই তাঁকে ঘিরে উৎসাহ বাড়ছে বিজেপি কর্মী থেকে আম জনতার মনে। তাই আর দেরি না করে তাঁর বিষয়ে সমস্ত কিছু জেনে নেওয়া যাক।
আসলে রাজনীতির পিচের অভিজ্ঞ ব্যাটার নীতিন নবীন। তিনি পাটনার বাঁকিপুর সিট থেকে ৫ বার বিধানসভা ভোট জিতেছেন। তাঁর জন্ম পটনাতেই। তিনি বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন এমএলএ নবীন কিশোর প্রসাদ সিনহার পুত্র। বর্তমানে নবীনও বিহারের নীতীশ সরকারের মন্ত্রী।
বিহার ইলেকশনের সময় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নবীনের স্ত্রীর নাম দীপমালা শ্রীবাস্তব। তাঁর এক ছেলে এবং এক মেয়ে বর্তমান।
বাবার মৃত্যুর পর থেকে নীতিন নবীন সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ২০০৬ সালের বাই ইলেকশন থেকে যাত্রা শুরু করেন। তারপর ২০১০, ২০১৫, ২০২০ এবং ২০২৫ সালের ভোটে পরপর জেতেন। ২০২৫ সালের বিধানসভায় ৯৮২৯৯ ভোট পান। তিনি আরজেডি প্রার্থী রেখা কুমারীকে ৫১,৯৩৬ ভোটে হারিয়ে দেন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
এফিডেভিট থেকে জানা যায়, নীতিন নবীন ১২ পাশ। তিনি সেন্ট মাইকেল হাইস্কুল থেকে ১৯৯৬ সালে ম্যাট্রিকুলেশ পাশ করেন। তার বোর্ড ছিল সিবিএসই। তারপর সিএসকেএম পাবলিক স্কুল থেকে ইন্টারমিডিয়েট উত্তীর্ণ হন।
তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই অ্যাক্টিভড। তার ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, লিঙ্কডইন এবং ইউটিউব রয়েছে। পাশাপাশি তিনি ফোন এবং হোয়াটস অ্যাপেও খুবই সক্রিয় থাকেন।
কত টাকার প্রপার্টি রয়েছে?
এফিডডেভিট থেকে জানা যায়, তাঁর মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৯৯,৭১,৪৭৮ টাকা। তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৬৬.৫২ লক্ষ টাকার। স্থাবর সম্পত্তির কথা যদি ধরা হয়, তাহলে নবীনের তেমন কিছুই নেই। তাঁর নামে নেই কোনও জমি বা বিল্ডিং। যদিও তাঁর স্ত্রীর নামে ১.৪৭ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে।
এছাড়া নবীনের ৪২,৬০,৯৬১.৭৫ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। তাঁর রয়েছে একটি স্করপিও এবং ইনোভা ক্রিস্টা। এছাড়া তাঁর স্ত্রীর ৭০ গ্রাম সোনার এবং ৪০০ গ্রামের রুপোর গয়না রয়েছে। ও দিকে নবীনের সোনার গয়না রয়েছে ১.৪০ লক্ষ টাকার।
ইনকাম ট্যাক্স রিটার্নের হিসেব জানাচ্ছে, শেষ ৫ বছরে নীতিনের মোট বার্ষিক আয় প্রতিবছর ৩.৩৫ লক্ষ থেকে ৩.৭১ লক্ষের মধ্যে থেকেছে।
কতগুলো কেস চলছে?
নবীন জানিয়েছেন, কোনও কেসে তাঁর সাজা হয়নি। তবে ৫টি কেস এখনও চলছে তার নাম। আর এই মামলাগুলি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলেও দাবি করেছেন তিনি।