
নতুন করে ধস নামল সিকিমে। পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল লাচুং ও লাচেনের রাস্তা। মঙ্গলবার আর কোনও পারমিট ইস্যু করা হচ্ছে না পর্যটকদের জন্য। পুরনো ইস্যু হওয়া পারমিটগুলি নিয়েও আর এই ট্যুরিস্ট স্পটগুলিতে পা বাড়াতে পারবেন না পর্যটকরা। একইসঙ্গে ধসের জেরে রাস্তা বন্ধ হওয়ায় পর্যটকদের প্রায় শতাধিক গাড়ি আটকে পড়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টি ও ধসের কারণে লাচেন ও লাচুং-এর রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিকিম প্রশাসন। বুধবারও বাতিল থাকবে পুরোনো পারমিট। আবহাওয়া অনুকূল না হওয়া পর্যন্ত পর্যটকদের অপেক্ষাকৃত উঁচু পাহাড়ি এলাকায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।
প্রবল বৃষ্টির পর জলস্রোতের কারণে সাংকালান ও ফিডংয়ের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যে কারণে সাংকালান সেতুর কাছে পর্যটকদের শতাধিক গাড়ি আটকে গিয়েছে। মাংগন প্রশাসন সেই গাড়িগুলিকে স্থানীয় একটি বিডিও অফিসের পার্কিংয়ে রাখার ব্যবস্থা করে। স্বাভাবিকভাবে বহু পর্যটক আটকে পড়েছেন।
উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসেও ধসের কারণে লাচুং-লাচেনের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রায় ১৮০০ পর্যটক আটকে পড়েছিলেন। যার মধ্যে বাংলার বেশ কিছু পর্যটক ছিলেন। চুংথাংয়ে আটকে পড়া হাজার পর্যটককে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত উত্তর সিকিমের একাধিক এলাকা পরিদর্শন করেন মাংগন জেলা পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। পরবর্তীকালে জ়িরো পাস, লাচুং রোড হয়ে বিকল্প রাস্তা দিয়ে পর্যটকদের নামিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়। খেদুম্পায় জিআরএফ এবং সেনার সহযোগিতায় রাস্তা থেকে পাথরের চাঁই সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
কলকাতা তথা দক্ষিণবঙ্গের ভ্যাপসা গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই সিকিম পাড়ি দিয়েছেন। গরমের ছুটিতে বরফে ঘেরা পাহাড় বেড়ানোর আশায় গিয়েছে অসংখ্য পর্যটক। কিন্তু সেই আনন্দ এখন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।
এপ্রিলের শেষে এবং মে মাসের শুরুতেও সিকিমে পর্যটকদের ভিড় ছিল। তবে এর মাঝে ধসের কারণে বারবার পর্যটকদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।