উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার ধরালী গ্রাম ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে। মঙ্গলবার ভোরে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ক্ষীরগঙ্গা নদীর উচ্চ অববাহিকা থেকে ভয়াবহ হড়পা বান নেমে আসে। মুহূর্তের মধ্যে নদীর জল দু’কূল ছাপিয়ে গ্রামে ঢুকে পড়ে। এবং তার প্রচণ্ড স্রোতে বহু বাড়িঘর, অন্তত ২০-২৫টি হোটেল ও হোমস্টে ভেসে যায়। জানা যাচ্ছে, মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। নিখোঁজ অন্তত ৫০ জন।
উদ্ধারকাজ ও হেল্প লাইন
সংবাদ সংস্থা পিটিআই গ্রামবাসীদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নীচে অন্তত ১০-১২ জন আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রশাসন তিনটি আইটিবিপি দল ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে এবং উদ্ধারকাজ জোরদার করা হয়েছে। হেল্পলাইন নম্বরও জারি করা হয়েছে— ০১৩৭৪২২২১২৬, ২২২৭২২। এ পর্যন্ত ১৫-২০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
ভয়াবহ ঘটনা
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পাহাড়ের ঢালে থাকা বাড়ি ও হোটেল মুহূর্তে কাদা-পাথরের স্রোতে তলিয়ে যাচ্ছে। প্রবল স্রোত এগুলিকে টেনে নিয়ে নিচের নদীতে ফেলে দিচ্ছে। গ্রামবাসীরা আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
হড়পা বান
এই বিপর্যস্ত এলাকা উত্তরকাশী থেকে গঙ্গোত্রীর পথে, যা পর্যটনকেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত। স্থানীয়দের মতে, বিগত কয়েক বছরে উত্তরাখণ্ডে এ ধরনের হড়পা বান প্রায় নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে, যা পাহাড়ি জীবনে তীব্র অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, উদ্ধারকাজ চলছে এবং আটকে পড়াদের নিরাপদে আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। দুর্গম পথ উদ্ধারকাজকে বাধাগ্রস্ত করছে। পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক।