পুজোর মুখে সিকিমগামী পর্যটকদের জন্য দুঃসংবাদ। ফের ধসের কবলে এই পাহাড়ি টুরিস্ট স্পটের একাংশ। জানা গিয়েছে, পশ্চিম সিকিমের রিম্বি এলাকার ইয়াংথাং ধস নেমেছে। ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও খবর। এছাড়াও নিখোঁজ আরও একাধিক। তাঁদের খওঁজে তল্লাশি শুরু করেছে উদ্ধারকারী দল। ধসের জেরে আটকেও পড়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের পাহাড় থেকে নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
জানা গিয়েছে, ইয়াংথাংয়ের একটি অংশে ধসের নীচে চাপা পড়ে যায় একটি বাড়ি। কাদামাটি এবং পাথরে চাপা পড়ে যান ওই বাড়ির সদস্যরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩ জনের। আরও একজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণ করেন চিকিৎসক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন SSB সদস্যরা। আহত অবস্থায় আরও এক মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। নিখোঁজও একাধিক। পাহাড়ি এলাকা দুর্গম এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণ উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরেই পশ্চিম সিকিম পার্বত্য এলাকায় টানা ধস নামছে। নাগাড়ে চলা বৃষ্টিতে হিউম নদী প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। এলাকা বাকি সিকিমের সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অস্থায়ী কাঠেত সেতু নির্মাণ করে উদ্ধারের কাজ চালানো হচ্ছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবারও অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সিকিমের পশ্চিম প্রান্তে। সঙ্গে বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। আগানমী বুধবার পর্যন্ত চলবে বৃষ্টিপাত পুজোয় এই অংশে যারা বেড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন, তারা সকলেই আশঙ্কায় ভুগছেন। বেড়ানোর আনন্দ প্রতিকূল আবহাওয়া আর ধস মাটি করে দেবে না তো, প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে পর্যটকদের মনে।
চলতি বছর ধসের কারণে একাধিকবার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম পৌঁছনোর এই লাইফলাইন ব্যবহার করতে পারেনি পর্যটকরা। দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন বেড়াতে গিয়ে। সমস্যায় ভুগেছেন স্থানীয়রাও। ধসের কারণেও মাঝে মধ্যেই সিকিমের পার্বত্য এলাকায় আটকে পড়েন পর্যটকরা। ফলে এবারও পুজোয় যারা সিকিম বেড়ানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছেন, তারা আশঙ্কায় ভুগছেন রিম্বির ইয়াংথাম এলাকার ধসের খবর শুনে।