লীলাবতী হাসপাতালে নাকি কালাজাদু চলত। এমনটাই দাবি করছেন লীলাবতী হাসপাতালের বর্তমান ট্রাস্টিরা। মুম্বইয়ে অবস্থিত লীলাবতী হাসপাতাল দেশের অন্যতম বড় ও নামী হাসপাতাল। সেখানে এই অভিযোগ সামনে আসার পর শোরগোল শুরু হয়েছে। বর্তমান ট্রাস্টিদের দাবি, হাসপাতাল চত্বরে মানুষের হাড়, মাথার খুলি, চুল, চাল ও চিতাভস্ম রাখা ৮ টি পাত্র মিলেছে।
প্রসঙ্গত, হাসপাতালের প্রাক্তন ট্রাস্টিদের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ করার পর এই ঘটনা সামনে আসে। হাসপাতালের পরিচালন কমিটির প্রাক্তন সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশ এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বর্তমান সদস্যেরা।
আসলে লীলাবতী হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর মেহতার ভাই বিজয় মেহতা এবং তাঁর আত্মীয় ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে আর্থিক অপব্যবহারের জন্য তিনটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল। প্রাক্তন ট্রাস্টিদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি এবং চুরির অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। তাঁদের দাবি, চক্রান্ত করা হচ্ছে।
হাসপাতালের বর্তমান কর্মকর্তারা জানান, ২০০২ সালে হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর মেহতা চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর ভাই বিজয় মেহতা ট্রাস্ট্রের জদায়িত্ব নিজের হাতে নেন।
অভিযোগ, কিশোর মেহতাকে স্থায়ি ট্রাস্টি হিসেবে অপসারিত করার জন্য বিজয় মেহতা ও তাঁর আত্মীয়রা স্বাক্ষর জাল করেন। দুর্নীতিও করেন। সেই মামলা কোর্টে চলেছিল। তবে ২০১৬ সালে সেই মামলায় জেতেন কিশোর মেহতা।
এদিকে ২০২৪ সালে কিশোর মেহতার মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে প্রশান্ত ট্রাস্টি বোর্ডের স্থায়ি সদস্য হন। এরপর তিনি হাসপাতালে তহবিলের অডিট করেন।