বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর হামলার ঘটনায় নড়েচড়ে বসল লোকসভার সচিবালয়। তাদের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। ৩ দিনের মধ্যে বাস্তব পরিস্থিতি জানতে চাওয়া হয়েছে।
আসলে নাগরাকাটার বামনডাঙায় বিপর্যয় পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন সাংসদ খগেন মুর্মু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ। আর সেখানেই স্থানীয় বাসিন্দা তথা 'দিদির সৈনিক'-রা তাঁদের উপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। পাথর, ইট ছোড়া হয়েছে তাঁদের দিকে।
রক্তাক্ত অবস্থায় গাড়িতে কাতরাতে দেখা গিয়েছিল খগেন মুর্মুকে। আর এই ঘটনাকে ঘিরেই বাংলা সহ গোটা দেশের রাজনীতিতে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে।
ঘটনা নিয়ে গরম ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী
খগনে মুর্মুর অবস্থা নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, 'বন্যা ও ধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আমাদের দলের বিধায়ক, সাংসদরা যে নৃশংস আক্রমণের শিকার হয়েছে, তা মর্মান্তিক এবং নিন্দনীয়। এই ঘটনা তৃণমূলের অমানবিকতা এবং রাজ্যের শোচনীয় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক।'
আর মোদীর এই এক্স-এর পরই পাল্টা দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও পোস্ট করেন এক্স-এ।
পাল্টা দিলেন মমতা
প্রধানমন্ত্রীর পোস্ট করার পর মুখ্যমন্ত্রী এক্স-এ লেখেন, 'অত্যন্ত দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক, প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে সামনে রেখে রাজনীতি করছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রমাণিত তথ্য, তদন্ত বা প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া সরাসরি তৃণমূল ও রাজ্য সরকারকে দোষারোপ করেছেন। এটা শুধু রাজনৈতিক শালীনতার নয়, বরং সাংবিধানিক নীতিরও লঙ্ঘন।' রাজ্য সরকারের কথা শোনার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানান তিনি।
কেমন রয়েছেন খগেন?
আঘাত পাওয়ার পরই শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ICU-তে ভর্তি রয়েছেন খগেন মুর্মু। এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে তাঁর চোখের ও নাকের নীচে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। যতদূর খবর, তার নাকের হার ভেঙে গিয়েছে। প্রয়োজনে তাকে দিল্লি AIIMS-এ নিয়ে যাওয়া হবে।