প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭৫-তম জন্মদিনে মধ্যপ্রদেশের ধারে ভাষণ দেন। 'স্বাস্থ্য নারী, সশক্ত পরিবার' অভিযান শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, আরও একবার পাকিস্তানকে নিশানা করেন। বলেন, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীরা মেয়ে-বোনেদের সিঁদুর কেড়ে নিয়েছেন, তার বদলা নিয়েছে ভারত।
মোদী এদিন বলেন, "অপারেশন সিঁদুর সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের সাহসী সেনারা চোখের পলকে পাকিস্তানকে নতজানু করে ফেলেছে। গতকালই জাতি এবং বিশ্ব আরও এক পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীকে কেঁদে কেঁদে এই ঘটনার বর্ণনা দিতে দেখা যায়।" তিনি আরও বলেন, "কোনও দেশের পরমাণু হামলার হুমকিতে ভারত ভয় পায় না।"
প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরের সময় জঙ্গি মাসুদ আজহারের পরিবার নিহত হয়। জইশ কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরির স্বীকারোক্তির একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। তিনি বলেন, এই হামলায় মাসুদ আজহারের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিবারের অনেক সদস্য নিহত হন। এই ভিডিওতে কমান্ডারকে বলতে দেখা যায়, 'সর্বস্ব উৎসর্গ করার পর, ৭ মে, বাহাওয়ালপুরে মওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের সদস্য, বিধবা, পুত্র এবং সন্তানদের শেষ করে দেয়। তাদের টুকরো টুকরো করে ধ্বংস করা হয়।'
এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, নতুন ভারত কারোর পরমাণু হুমকিতে ভীত নয়; নতুন ভারত ভিতরে ঢুকে আক্রমণ করে। আজ, দেশ ভারতমাতার নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।
প্রধানমন্ত্রী মোদী 'স্বাস্থ্য নারী, সশক্ত পরিবার' এবং 'অষ্টম জাতীয় পুষ্টি মাস' অভিযানের সূচনা করেন মধ্যপ্রদেশের ধার থেকে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় আরও বলেন, "এই দিনে, জাতি সর্দার প্যাটেলের দৃঢ় সংকল্পের উদাহরণ প্রত্যক্ষ করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী হায়দেরাবাদকে অসংখ্য নৃশংসতা থেকে মুক্ত করেছে। ভারতের অধিকার রক্ষা করে ভারতের গর্ব পুনরুদ্ধার করেছে।"
দেশের এই মহান অর্জন, সেনাবাহিনীর এই মহান বীরত্বের পর বহু দশক পেরিয়ে গেছে, কেউ এটি স্মরণ করার জন্য ছিল না, কিন্তু আপনি আমাকে সুযোগ দিয়েছিলেন, আমাদের সরকার ১৭ সেপ্টেম্বরের হায়দ্রাবাদের ঘটনাকে অমর করে তুলেছে। আমরা এই দিনটিকে 'হায়দ্রাবাদ মুক্তি দিবস' হিসেবে উদযাপন শুরু করেছি, যা ভারতের ঐক্যের প্রতীক।
প্রধানমন্ত্রী মিত্র পার্কের উদ্বোধন
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "আজ, বিশ্বকর্মা জয়ন্তী উপলক্ষে, একটি বড় শিল্প উদ্যোগ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। দেশের বৃহত্তম সমন্বিত টেক্সটাইল পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর এখানে স্থাপন করা হয়েছে।"
এই পার্কটি ভারতের টেক্সটাইল শিল্পে নতুন শক্তি সঞ্চার করবে এবং কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবে তা নিশ্চিত করবে। এই টেক্সটাইল পার্কটি আমাদের বিপুল সংখ্যক যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। এই প্রকল্পগুলির জন্য সমস্ত দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই।"