মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে বাংলাদেশের শরণার্থী নিয়ে বলেছিলেন। তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। বিষয়টিতে এদিন মমতা বলেন, 'আমি ফেডারেল কাঠামো খুব ভালো করেই জানি। আমি সাতবার সাংসদ ছিলাম, দুবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। আমি এমইএ নীতি অন্য কারও চেয়ে ভালো জানি। তাদের আমাকে শিক্ষা দেওয়া উচিত নয়।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাষ্ট্রসংঘের নিয়ম মেনে বাংলাদেশের শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা বলেছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের 'শহীদ দিবস' সমাবেশে তিনি বলেন, 'যদি অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় কড়া নাড়তে আসে, আমরা অবশ্যই তাদের আশ্রয় দেব।' বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক তাঁর মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, ঢাকা থেকে সেই বিষয়ে একটি চিঠিও এসেছে। মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন যে, 'বিদেশী সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলি কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষাধিকার।
ভারতের সংবিধানের সপ্তম তফসিলের প্রথম তালিকার ১০ নম্বর অনুচ্ছেদে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, বিদেশ সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় এবং অন্য কোনও দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত বিষয়ের এক্তিয়ার একমাত্র ভারত সরকারের। এই বিষয়টি যৌথ তালিকায় নেই। আর অবশ্যই রাজ্যের তালিকায় নেই। আমাদের অবস্থানটা স্পষ্ট, সাংবিধানিক এক্তিয়ারের বাইরের কোনও বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।'
যদিও ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, একুশের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ওই মন্তব্যটি করেছিলেন মানবিক দিক থেকেই। সংরক্ষণ ইস্যুতে ছাত্র আন্দোলনে প্রতিবেশী বাংলাদেশ যখন জ্বলছিল সেসময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বলেছিলেন, 'এ নিয়ে আমার বিশেষ কিছু বলার নেই, যা বলার ভারত সরকারই বলবে। কিন্তু অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় খটখট করলে দরজা খোলা আছে, এটুকু আশ্বাস দিতে পারি।'