বিচার ব্যবস্থার সম্পূর্ণ স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। মঙ্গলবার মেঘালয় সফরে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা বিচার ব্যবস্থার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা চাই। এতে ওদের কোনও মতলব আছে। এটা নতুন ধরনের পরিকল্পনা। যদি কেন্দ্রীয় সরকার তাদের প্রতিনিধি কলেজিয়ামে ঢোকায়, তাহলে রাজ্যও মুখ্যমন্ত্রী বা কোনও প্রতিনিধিকে কলেজিয়ামে করবে। তাতে ফল যেটা হবে তা হল, রাজ্য হাইকোর্ট থেকে কলেজিয়াম সুপারিশ পাঠাবে সুপ্রিম কোর্টে। আর সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম সুপারিশ পাঠাবে কেন্দ্রের কাছে। কিন্তু সেখনে রাজ্যের সুপারিশের কোনও মূল্য থাকবে না। আসলে কেন্দ্র সরাসরি বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করবে। আমরা সেটা চাই না। আমরা চাই সবার জন্য বিচার, গণতান্ত্রিক অধিকারের বিচার"।
এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, "বিচার ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্দির। তারাই মানুষকে বিচার দেওয়ার সুপ্রিম অথরিটি। যাঁরা তাদের সমর্থক তাঁদের রাস্তা পরিস্কার এক মাসের মধ্যে। আর যাঁরা তাদের সমর্থক নয় তাঁদের তালিকা ঝুলে থাকবে তিনবছর ধরে"। এক্ষেত্রে বিচারপিত মহীতোষ মজুমদারের ছেলে জয়তোষ মজুমদারের নামও উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যা বলেন বলেন, "সর্বত্র এজেন্সির হস্তক্ষেপ। গণতন্ত্র বিপদের মধ্যে রয়েছে। আমরা বিচার ব্যবস্থাকে বিশ্বাস করি। বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমাদের পুরোপুরি আস্থা আছে। তাই কেউ বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না"।
প্রধান বিচারপতিকে কেন্দ্রের চিঠি
প্রসঙ্গত, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগে কেন্দ্রীয় সরকারও তাদের অভিমত জানাতে চায়। আর সেই কারণে কেন্দ্রীয় সরকার বিচারপতি নিয়োগের জন্য গঠিত কলেজিয়ামে নিজেদের প্রতিনিধি রাখতে আগ্রহী। সরকারের এই বক্তব্য জানিয়ে দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রের আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত কমিশন তৈরি করলেও তা অসাংবিধানিক বলে খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আর সুপ্রিম কোর্টের ওই ভূমিকার প্রকাশ্যেই সমালোচনা করেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। আবার ধনখড়ের বক্তব্য়ের পাল্টা সমালোচনা করেছে কংগ্রেসও।
আরও পড়ুন - নিরাপত্তায় বড়সড় ফাঁক, ভিড় ঠেলে হঠাত্ রাহুলকে জড়িয়ে ধরলেন যুবক, VIDEO