ইন্ডিয়া ব্লকের নেতা কে হবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। সেই দ্বন্দ্বের মধ্যে আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদব মুখ খুললেন। তাঁর মতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইন্ডিয়া জোটের নেতা করা উচিত। লালু বলেন, কংগ্রেসের বিরোধিতা অর্থহীন। ইন্ডিয়া জোটকে আরও জোরালোভাবে মানুষের মনে প্রতিষ্ঠা করতে ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
এর আগে, বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও প্রায় একই বিবৃতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা ইন্ডিয়া ব্লকের কোনও সিনিয়র নেতাকে জোটের নেতৃত্ব দিলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তবে এই নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
সম্প্রতি হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের খারাপ ফলাফল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সুযোগ পেলে তিনি ইন্ডিয়া ব্লকের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।
তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো বলেছিলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি বিরোধী ফ্রন্ট চালানোর ভূমিকাও সামলাতে পারেন। একটি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি ইন্ডিয়া ব্লক তৈরি করেছিলাম। কেউ যদি সেই জোট চালাতে না পারে তাহলে তার দায়িত্ব তো আমার নয়। আমার এক্ষেত্রে কী করণীয়? আমার শুধু মনে হয়, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।'
তিনি নিজে একজন দক্ষ সংগঠক। বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে তাঁর খ্যাতিও রয়েছে। তিনি সফল। তারপরও তিনি কেন ইন্ডিয়া ব্লকের দায়িত্ব তিনি নিজে হাতে তুলে নিচ্ছেন না? সেই প্রশ্নের উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তর, 'আমি বাংলার বাইরে যেতে চাই না। তবে আমি এখান থেকেই চালাতে পারি।'
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য সামনে আসার পর একাধিক দলের তরফে বয়ান সামনে আসতে শুরু করে। বিহার কংগ্রেসের সভাপতি অখিলেশ প্রসাদ সিং বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল বাংলায় সীমাবদ্ধ। জাতীয় প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল এতটা শক্তিশালী নয়।
শিবসেনা ইউবিটি সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতামত জানেন। তাঁরা চান একসঙ্গে কাজ করতে। যদি কোনও মতপার্থক্য থাকে তাহলে তা মিটিয়ে এগোতে হবে। তবেই সাফল্য মিলবে।