রবিবার বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন। আর সেইদিন পরিবারবাদ ও দুর্নীতি ইস্যুতে বিরোধীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন অমিত শাহ। তিনি বললেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য তাঁর ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করা'। তিনি আরও বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রীদের বাড়ি থেকে কোটি-কোটি টাকা... ৫৫ কোটি টাকা তো একটিই বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছিল। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। এই পুরো ইন্ডিয়া জোট দুর্নীতিতে লিপ্ত।'
এদিন রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র ইস্যুতে বিরোধী জোটকে আক্রমণ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, 'রাজনীতিতে ওদের (INDIA জোট) উদ্দেশ্য কী? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত। সনিয়া গান্ধীর লক্ষ্য রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী করা, পাওয়ার সাহেবের লক্ষ্য তাঁর মেয়েকে মুখ্যমন্ত্রী করা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য তাঁর ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করা, স্ট্যালিনের লক্ষ্য তাঁর ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী করা, লালু যাদবের লক্ষ্য তাঁর ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী করা, উদ্ধব ঠাকরের লক্ষ্য তাঁর ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী করা এবং মুলায়ম সিং যাদব তাঁর ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী করাটা করেছেন। যাঁরা নিজের পরিবারের কল্যাণ করতেই ব্যস্ত, তাঁরা কি কখনও গরিবের কল্যাণের কথা ভাববে?'
অমিত শাহ এদিন পরিবারতন্ত্র নিয়ে আরও বলেন, 'অনেকে বলছেন INDIA জোট নাকি আমাদের জন্য় বড় চ্যালেঞ্জ। আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করেন, ইন্ডিয়া জোট কী, আমি বলব, কাছে ইন্ডিয়া জোট হল ৭ পরিবারবাদী দলের জোট। যারা নিজেদের দলের মধ্যেই গণতন্ত্র তৈরি করতে পারে না, তারা কখনই দেশের গণতন্ত্র রক্ষা করতে পারবে না। একদিকে মোদীজির উন্নয়নমূলক জোট, অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর পরিবারতান্ত্রিক। আমার বিশ্বাস, জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। ভারতীয় জনতা পার্টিকেই বেছে নেবে।'
তিনি আরও বলেন, 'INDIA জোট এবং কংগ্রেস দল দেশের গণতন্ত্রের চেতনাকে ধ্বংস করছে। তারা দেশের গণতন্ত্রকে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, তুষ্টি ও বর্ণবাদ দিয়ে কলুষিত করেছে। এই ধরনের স্বজনপোষণ করা দলগুলি এমন একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তুলছিল, যাতে জনমত স্বাধীনভাবে উঠে আসতে না পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত ১০ বছরে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, তুষ্টি এবং জাতপাত দূর করে উন্নয়নকেই প্রধান লক্ষ্য হিসাবে তুলে ধরেছেন।'