বিয়ের ৩ মাসেই গর্ভবতী মহিলা। আর সেই খবরেই বেজায় চটলেন স্বামী। এমনকি বিষয়টি নিয়ে তিনি আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। ব্যক্তির দাবি, এই বিয়ে অবৈধ। ওই মহিলা যে আগে থেকেই গর্ভবতী সেটা তাঁকে জানানোই হয়নি। তাঁকে ঠকানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই ব্যক্তি। লোহিয়ানগরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি ৩ মাস আগেই বিয়ে হয়। তখন ওই মহিলার শরীরে কিছু পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হয়ে স্বামীর। কিন্তু মহিলা জানান গ্যাসের সমস্যা। কিন্তু মাস দুয়েকের মধ্যেই ওই মহিলা তাঁর স্বামীকে জানান তিনি গর্ভবর্তী। খুশিতে বাড়িতে অনুষ্ঠানও করেন ওই ব্যক্তি। এর পরেই চিকিৎসকের কাছে স্ত্রীকে নিয়ে যান তিনি। তারপরেই ঘটে মারাত্মক ঘটনা।
চিকিৎসক জানান, ওই মহিলা গর্ভবতী ৮ মাস ধরে। এই খবর শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে যান তাঁর স্বামী। বিষয়টি নিয়ে স্ত্রীয়ের সঙ্গে বচসাও হয় তাঁর। কিন্তু আগে কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন কিনা, সেটা ওই মহিলা মানতেই চাননি। শেষে বাপেরবাড়ি ফিরে যান তিনি। কিন্তু বিষয়টি এখানেই ছেড়ে দিতে রাজি নন ওই ব্যক্তি। এখন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। অভিযোগ, তাঁকে ঠকানো হয়েছে।
তিনি জানান, স্ত্রীয়ের আচরণ কিছুটা সন্দেহজনক ছিল। কিন্তু আচমকা শারীরিক পরিবর্তন হওয়ায় তিনি বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। উত্তরে স্ত্রী জানায় গ্যাসের সমস্যা হয়েছে। তাই ওই ব্যক্তি আর সন্দেহ করেননি। কিন্তু এখন চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন ৮ মাস ধরে গর্ভবতী রয়েছেন তাঁর স্ত্রী। অর্থাৎ গর্ভবর্তী থাকাকালীন তাঁকে বিয়ে করেছিলেন। অথচ এই বিষয়ে আগে ওই মহিলা কিংবা তাঁর পরিবারের সদস্যরা কিছু জানায়নি। আদালতের দ্বারস্থ হয়ে বিচার চেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে নিজের বাড়ি ফিরে গেলেও এখনও ঘটনা সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি ওই মহিলা। বিষয়টি ঘিরে এলাকায় আলোড়ন তৈরি হয়েছেন।