দেশে এই প্রথম। গর্ভবতী হলেন এক পুরুষ। কেরলের কোঝিকোড়ের ঘটনা। কিছুদিনের মধ্যেই সেই পুরুষ সন্তানের জন্ম দেবেন। আসলে তাঁরা ট্রান্সজেন্ডার দম্পতি। নাম জিয়া পাভাল (২১) এবং জাহাদ (২৩)। সোশ্যাল মিডিয়ার সুসংবাদটি শেয়ার করেছেন তাঁরা। মার্চ মাসেই সন্তানের জন্ম দিতে পারেন জিয়া। ওই দম্পতি ৩ মাস ধরে একসঙ্গে বসবাস করছেন।
জানা গেছে, লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন ওই দম্পতি। জাহাদ একজন মহিলা হলেও অস্ত্রোপচার করে পুরুষ হন তিনি। তাঁর জরায়ু এবং অন্য কিছু অঙ্গ অপসারণ করা হয়নি। সেই কারণেই তিনি গর্ভধারণ করতে পারেন। এদিকে জিয়া জন্মসূত্রে পুরুষ হলেও নিজেকে মহিলা রূপে পরিবর্তিত করেন। এই দম্পতি জানান, ৩ বছর আগে যখন একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন, তখন তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুন : বেকারদের হাজার টাকা ভাতা, ৫ লাখ পরিবারকে ফ্রিতে গ্য়াস; বিরাট ঘোষণা তৃণমূলের
ওই দম্পত্তি জানিয়েছেন, তখন তাঁরা ভেবেছিলাম তাঁদের জীবন অন্য ট্রান্সজেন্ডারদের থেকে আলাদা হওয়া উচিত। বেশিরভাগ এমন দম্পতি সমাজের পাশাপাশি তাঁদের পরিবার দ্বারা বঞ্চিত হয়। শাস্ত্রীয় নৃত্যের শিক্ষিকা জিয়া বলেন, 'আমরা এমন একটি সন্তান চেয়েছিলাম, যাতে এই পৃথিবীতে আমাদের দিন সংখ্যা শেষ হলেও আমরা কিছু রেখে যেতে পারি। জিয়া বলেন, 'আমাদের ট্রান্স ম্যান এবং ট্রান্স উইমেন হওয়ার যাত্রা অব্যাহত থাকবে। আমি এখনও একজন ট্রান্স মহিলা হওয়ার জন্য হরমোন চিকিৎসা করছি। প্রসবের ছয় মাস বা এক বছর পর, জাহাদও ট্রান্স ম্যান হওয়ার জন্য পুনরায় চিকিৎসা শুরু করবেন।'
জিয়া কোঝিকোড়ের বাসিন্দা। জাহাদের বাড়ি তিরুবনন্তপুরমে। মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যাওয়ার আগে, তিনি হিসাবরক্ষক হিসাবে কাজ করতেন। দুজনেই এলজিবিটি তা জানার পর পরিবার ছেড়ে চলে যান। জিয়া পাভাল জানান, 'অনেক চিন্তাভাবনা করে সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আমি কোঝিকোড়ের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারদের কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছি।'
জাহাদ আগামী মাসে তাঁর সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন। জিয়া জানান, যে ডাক্তাররা তাঁদের গর্ভধারণের প্রক্রিয়ার মধ্যে সামিল রয়েছেন, তাঁরা বেশি কিছু তথ্য প্রকাশ না করার পরামর্শ দিয়েছেন।'