মণিপুরে অস্থিরতা এবং উত্তেজনার মধ্যে সেই রাজ্যে পৌঁছলেন সিআরপিএফ-এর ডিজি অনীশ দয়াল সিং। ১৬ নভেম্বর বিক্ষোভকারীরা ইম্ফল উপত্যকায় বেশ কয়েকজন বিধায়ক এবং মন্ত্রীর বাসভবনে হামলা চালায়। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাসভবনেও হামলার চেষ্টা করে বিক্ষুব্ধরা।
মণিপুর পুলিশ এই সম্পত্তি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ভুয়ো খবর ছড়ানো বন্ধ করতে ইম্ফল উপত্যকায় ইন্টারনেট এবং মোবাইল ডেটা পরিষেবা স্থগিত রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।
মণিপুর পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে আপডেটও দেওয়া হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ এবং অসম রাইফেলসের কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১১ নভেম্বর মণিপুরের জিরিবাম জেলার বোরোব্রেকা থানাকে টার্গেট করে সশস্ত্র জঙ্গিরা। সিআরপিএফ এই থানায় ক্যাম্প স্থাপন করেছে। কাছাকাছি একটি ত্রাণ শিবিরও চলছে।
সিআরপিএফ পাল্টা ১১ কুকি জঙ্গিকে হত্যা করে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর পিছু হটতে গিয়ে বোরোব্রেকা রিলিফ ক্যাম্প থেকে ৬ জনকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। ১৫ নভেম্বর, জিরিবাম জেলা থেকে নিখোঁজ ছয়জনের মধ্যে একজন মহিলা এবং দুই শিশুর মৃতদেহ মণিপুর-অসম সীমান্তে জিরি এবং বরাক নদীর সঙ্গমস্থলের কাছে পাওয়া যায়। তিনটি মৃতদেহ উদ্ধারের পর, ইম্ফল উপত্যকার মেইতি সম্প্রদায় বিক্ষোভ শুরু করে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই অপহরণ ও হত্যার জন্য দায়ী জঙ্গিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।
এদিকে, রবিবার সকালে একজন ৬১ বছর বয়সী এক মহিলার লাশ আসামের বরাক নদীতে ভাসতে দেখা গেছে। এরপর ইম্ফল উপত্যকায় উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মহারাষ্ট্রে রবিবারের জন্য নির্ধারিত তার নির্বাচনী সমাবেশ বাতিল করে দিল্লিতে ফিরে আসেন।
জিরিবামের বোরোবেকরা এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছে একই পরিবারের ছয়জন। ছয় জনই মেইতি সম্প্রদায়ের। জুন মাসে এলাকায় হিংসা শুরু হওয়ার পর বোরোবেকরা থানায় স্থাপিত একটি ত্রাণ শিবিরে বসবাস করছিলেন।