দুই মহিলাকে নগ্ন করে প্যারেড করানোর পর মণিপুরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। এই অবস্থায় প্রতিবেশী রাজ্য মিজোরামের মেইতি জনগণকে নিরাপত্তা নিতে সরকার। সেই রাজ্যের আইজল শহরে মেইতিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর হয়েছে পুলিশ।
চিঠিতে উল্লেখ, 'মণিপুরে দুই আদিবাসী কুকি-জো-র উপর নির্মমভাবে আক্রমণের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর জনরোষের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আইজলে বসবাসকারী মেইতিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেই শহরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চিঠি অনুসারে, ওয়াইটি কলেজ, মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয়, তানহরিল, রিপনস, জেম্বাচ এবং জেডএমসি, ফ্যালকনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইন্ডিয়া টুডের তরফে এই বিষয়ে আইজলে বসবাসকারী মেইতি ছাত্রদের মধ্যে একজনের সঙ্গে কথা বলা হয়। সেই ছাত্র জানিয়েছেন, সরকার আইজল থেকে মেইতিদের এয়ারলিফট করার পরিকল্পনা করেছে। তবে কখন তাঁদের সরিয়ে নিরাপদ জায়গাতে নিয়ে যাওয়া হবে তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, ৪ মে কুকি সম্প্রদায়ের দুই মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় প্যারেড করানো হয়। উত্তেজিত জনতা দুই মহিলাতে তাড়া করে। তাঁদের উপর যৌন নির্যাতন করে বলেও অভিযোগ। সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর মূল অভিযুক্ত হুইরেম হারদাসসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভিডিও থেকে বাকিদের খোঁজা শুরু হয়। এই ঘটনার পর রাজ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ মণিপুরের এই ঘটনা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। একাংশের অভিযোগ, ঘটনার ৪৯ দিন পর ২১ জুন এফআইআর করে পুলিশ। শুধু তাই নয়, এফআইআর নথিভুক্ত হওয়ার আড়াই মাস পর যখন মণিপুরকাণ্ড নিয়ে দেশ তোলপাড়, তখনই গ্রেফতারির ঘটনা।
উল্লেখ্য মণিপুরে জাতিহিংসা সামনে আসার পর এখনও পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। মেইতি সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতি ঘোষণার পরই কুকি সম্প্রদায় পার্বত্য জেলাগুলিতে মিছিল বের করে। মণিপুরের জনসংখ্যার মধ্যে মেইতি বসবাস করে প্রায় ৫৩ শতাংশ। তারা বেশিরভাগ ইম্ফল উপত্যকায় বাস করে। আর কুকি এবং নাগা উপজাতিদের সংখ্যা ৪০ শতাংশ।