Manipur President Rule: মণিপুরে জারি রাষ্ট্রপতি শাসন, বীরেনের ইস্তফার পর বড় সিদ্ধান্ত

আস্থা ভোটের ঠিক একদিন আগে পদত্যাগ করেন  বীরেন সি। যার ফলে রাজনৈতিক সংঘাতের সম্ভাবনা এড়ানো গিয়েছে বলে মত অনেকের। ২০২৩ সালের মে মাসে মণিপুরে জাতিগত হিংসা শুরু হওয়ার প্রায় দুই বছর পর ইস্তফা দিয়েছেন বীরেন সিং। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর পদত্যাগ দাবি করে আসছিল বিরোধীরা। 

Advertisement
মণিপুরে জারি রাষ্ট্রপতি শাসন, বীরেনের ইস্তফার পর বড় সিদ্ধান্ত   বীরেন সিং।

মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বীরেন সিং পদত্যাগ করার পর জল্পনা চলছিল। সেটাই সত্যি হল। মণিপুরে জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন। মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসার কারণে মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও আয়ত্তে আসেনি। গত রবিবার রাজ্যপাল অজয় ​​কুমার ভল্লার কাছে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফাপত্র দেন বীরেন সিং। নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করার জন্য বিজেপি নেতাদের একের পর এক বৈঠক শুরু হয়। মণিপুরের ইনচার্জ সম্বিত পাত্র বিজেপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করছিলেন। এবার সে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হল।

সংবিধানের ১৭৪(১) অনুচ্ছেদে রাজ্যের আইনসভাকে শেষ ৬ মাসের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হবে। মণিপুরে শেষ বিধানসভার অধিবেশন বসেছিল ২০২৪ সালের ১২ অগাস্ট। সেই হিসেবে গতকাল অর্থাৎ বুধবার, বিধানসভা অধিবেশন ডাকার সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে। রবিবার রাজ্যপাল অজয় ​ভল্লা মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের পর সোমবার থেকে শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশন স্থগিত করেছেন।

আস্থা ভোটের ঠিক একদিন আগে পদত্যাগ করেন  বীরেন সি। যার ফলে রাজনৈতিক সংঘাতের সম্ভাবনা এড়ানো গিয়েছে বলে মত অনেকের। ২০২৩ সালের মে মাসে মণিপুরে জাতিগত হিংসা শুরু হওয়ার প্রায় দুই বছর পর ইস্তফা দিয়েছেন বীরেন সিং। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর পদত্যাগ দাবি করে আসছিল বিরোধীরা। 

সোমবার কংগ্রেস অভিযোগ করে, বিধানসভায় কংগ্রেসের অনাস্থা প্রস্তাবের আগে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং-এর পদত্যাগ মণিপুরের জনগণকে বাঁচানোর জন্য নয় বরং বিজেপিকে বাঁচানোর জন্য। কারণ প্রায় দুই বছর ধরে জাতিগত হিংসা অব্যাহত রয়েছে।

কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন,'এই সিদ্ধান্ত অনেক দেরিতে নেওয়া হয়েছে। লোকসভায় কংগ্রেসের উপনেতা গৌরব গগৈ জানান, উত্তর-পূর্বের  এই রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য বিজেপির কোনও রোডম্যাপ নেই।
 

TAGS:
POST A COMMENT
Advertisement