জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত যে, সেনা ও অসম রাইফেলস মোতায়েন করা হয়েছে মণিপুরের বহু এলাকায়। রাজ্যের আট জেলায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। রাজ্যের স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে ৫ দিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৪ হাজার লোককে উদ্ধার করা হয়েছে
বুধবার থেকে শুরু হওয়া হিংসার ঘটনা রুখতে রাতেই পথে নামানো হয় আধা সেনা এবং অসম রাইফেলসকে। সরকারি ভবনগুলিতে আক্রমণের পরেই প্রায় ৪ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে সেনা শিবিরে আনা হয়েছে। মণিপুরের বাসিন্দা বক্সার মেরি কম টুইট করে লিখেছেন, 'আমার রাজ্য জ্বলছে, দয়া করে সাহায্য করুন।'
#WATCH | Mob destroys houses amid tensions in Churachandpur Town in Manipur. Public curfew has been imposed in the district. pic.twitter.com/jonBsyRI18
— ANI (@ANI) May 3, 2023
ঠিক কী ঘটেছে মণিপুরে?
যাবতীয় হিংসার শুরু অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মণিপুর (ATSUM)-এর ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ-এর পর থেকে। মণিপুরে মেইতেই সম্প্রদায় তাদের তফসিলি উপজাতিভুক্ত করার দাবি তুলেছে। কিন্তু রাজ্যের তফশিলি সম্প্রদায়গুলি একযোগে তার বিরোধিতা করছে। সম্প্রতি মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের এই দাবিটি বিবেচনা করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। মেইতেই জনজাতির তফশিলি উপজাতিভুক্ত হওয়ার দাবির পাল্টা মিছিল করে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মণিপুর। এরপরেই শুরু হয় সংঘর্ষ। তোরবাংয়ে বহু বাড়িঘর জ্বলছে। মণিপুরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে।
সেনা ও অসম রাইফেলস রুট মার্চ করছে
মণিপুরের হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতে সেনা ও অসম রাইফেলস রুট মার্চ করছে। সেনার তরফে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানানো হয়েছে, হিংসাকবলিত এলাকাগুলি থেকে এখনও পর্যন্ত ৪ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে সরকারের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।
চুরাচন্দপুর জেলার তোরবাংয়ে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তায় রাস্তায় চলছে বিক্ষোভ। একাধিক রাউন্ড টিয়ার গ্যাস ফায়ার করেছে পুলিশ। পশ্চিম ইম্ফল, ক্যাকচিং, থৌবল, জিরিবাম, বিষ্ণুপুর, ক্যাংপোকি ও তেংনাওপলে কার্ফু জারি করা হয়েছে।