মহাকুম্ভ যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল অন্তত ১০ পুণ্যার্থীর। গতকাল মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর-প্রয়াগরাজ হাইওয়েতে। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও ১৯ জন। মৃত পুণ্যার্থীরা ছত্তীশগড়ের বাসিন্দা। সকলেই প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের দিকে যাচ্ছিলেন। হাইওয়েতে বাস ও গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষে দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত পুণ্যার্থীরা ছত্তীশগড়ের কোরবা এলাকার বাসিন্দা। সঙ্গমে পুণ্যস্নান করার জন্য তাঁরা যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসে ছিলেন মধ্যপ্রদেশের রাজগড়ের পুণ্যার্থীরাও।
এই ঘটনায় খোঁজ নিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেও নির্দেশ দিয়েছেন যোগী।
উল্লেখ্য, কুম্ভ মেলায় যাতায়াতের পথে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। কুম্ভ মেলা থেকে ফেরার পথে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বাংলার পুণ্যার্থীদের।
অন্য দিকে, কুম্ভ মেলায় একাধিক বার বিপত্তির ঘটনা ঘটেছে। কয়েক দিন আগে, ফের কুম্ভ মেলায় আগুন লাগে। গত শুক্রবার আগুন লাগে সেক্টর ১৮ এলাকায় হরিহরা নন্দ ক্যাম্পে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। অগ্নিকাণ্ডে হতাহত কেউ হননি। এর আগেও কুম্ভ মেলায় আগুন লেগেছিল। সেক্টর ২২-তে তাঁবুকে আগুন লাগে। কুম্ভ মেলায় পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পর একের পর এক বিপর্যয় ঘটছে কুম্ভ মেলায়। গত ১৯ জানুয়ারি কুম্ভ মেলার সেক্টর ১৯ এলাকায় আগুন লেগেছিল। সেবার অগ্নিকাণ্ডে ১৮০টি তাঁবু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল।
সম্প্রতি মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে কুম্ভ মেলায় শাহি স্নানের জন্য ভিড় বেশি ছিল। সেদিনই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। যা ঘিরে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। মৃতের সংখ্যা আড়াল করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বার বার মহাকুম্ভে বিপর্যয়ের ঘটনায় যোগী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সাধারণ মানুষের জন্য মেলায় যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করা হয়নি বলে সরব হয়েছে তারা। এ-ও অভিযোগ উঠেছে যে, কুম্ভ মেলায় বিশিষ্টদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকলেও সাধারণ মানুষের জন্য তেমন ব্যবস্থা করা হয়নি।