ছত্তীশগড়ের বিজাপুরে ফের মাওবাদী হামলা। এবার ঘটনাস্থল বীজাপুর জেলা। সোমবার সকালে সেখানে IED বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর নেপথ্যে মাওবাদীরা রয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। ঘটনায় ২ জওয়ানের শহিদ হওয়ার খবর মিলেছে।
নিগত জওয়ানের তালিকায় রয়েছেন ছত্তীশগড়ের জেলা পুলিশের রিজার্ভ গার্ড দীনেশ নাগ। সোমবার এই বিস্ফোরণটি হয় ইন্দ্রবতী জাতীয় উদ্যান চত্বরে। এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, সোমবার সকালে মাওবাদীদের ডেরায় হানা দিয়েছিল DRG দীনেশ নাগের নেতৃত্বাধীন টিম। তখনই ঘটে এই বিস্ফোরণ।
উল্লেখ্য, মাওবাদী নিধন যজ্ঞের টার্গেট দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেই লক্ষ্যেই নিত্যদিন চলছে ছত্তীশগড়ের জঙ্গলে মাওবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গুলির লড়াই। মাত্র ২ দিন আগেই ছত্তীশগড়ের জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় দুই মাওবাদী নেতার। দু’জনের মাথার দাম ছিল ৩৫ লক্ষ টাকা। ছত্তীশগড়ের মোহলা-মানপুর-অম্বাগড় চৌকি জেলার মদনওয়াড়া জঙ্গলে মাওবাদীরা লুকিয়ে ছিল বলে গোপন সূত্রে খবর পায় নিরাপত্তা বাহনী। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই গত সপ্তাহে বুধবার রাতে জঙ্গল এলাকায় অভিযান চালায় যৌথবাহিনী।
জঙ্গলে হানা দিতেই মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। তাতে মৃত্যু হয় মাওবাদী নেতা বিজয় রেড্ডি এবং লোকেশ সালামের। বিজয় ছিলেন মাওবাদীদের দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটির সদস্য। তাঁর মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ টাকা। লোকেশও মাওবাদীদের একটি আঞ্চলিক কমিটির সদস্য। তাঁরও মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা।
যৌথবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের ফলে মাওবাদী কার্যকলাপ এখন অনেকটাই কমে এসেছে। গত বছর বস্তার ডিভিশনের সাতটি জেলায় মোট ৭৯২ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, যৌথবাহিনীর অভিযানে CPI (মাওবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু, পলিটব্যুরো সদস্য চলপতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নর সিংহচলম ওরফে সুধাকরের মতো শীর্ষস্থানীয় নেতার মৃত্যু হয়েছে।