ঝাড়খণ্ডে রেল লাইন ওড়াল মাওবাদীরা, অল্পের জন্য এড়ানো গেল বড় ট্রেন দুর্ঘটনা

কয়েক মাস আগে যৌথ বাহিনীর গুলিতে মাওবাদী সংগঠনের মহাসচিব বাসবরাজ ওরফে নম্বালা কেশবরাওয়ের মৃত্যুর প্রতিবাদে ৩ অগাস্ট পাঁচ রাজ্যে বন্‌ধের ডাক দিয়েছে সিপিআই (মাওবাদী)। ২৮ জুলাই থেকে ৩ অগাস্ট সিপিআই মাওবাদীরা শহিদ সপ্তাহও পালন করছে।

Advertisement
ঝাড়খণ্ডে রেল লাইন ওড়াল মাওবাদীরা, অল্পের জন্য এড়ানো গেল বড় ট্রেন দুর্ঘটনাঝাড়খণ্ডে রেল লাইন ওড়াল মাওবাদীরা, অল্পের জন্য রক্ষা একটি ট্রেনের
হাইলাইটস
  • ২৮ জুলাই থেকে ৩ অগাস্ট সিপিআই মাওবাদীরা শহিদ সপ্তাহ পালন করছে
  • ওই শহিদ সপ্তাহের শেষ দিন ৩ অগাস্টে বনধের ডাক দেওয়া হয়

রেল লাইন উড়িয়ে দিল মাওবাদীরা। চক্রধরপুর ডিভিশনের রাংরা-করমপাড়া রুটে রেললাইন উড়িয়ে দেয় মাওবাদীরা। এছাড়া লাইনে মাওবাদী পতাকা ও ব্যানার লাগিয়ে দেয় মাওবাদীরা। সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে মাওবাদীদের জোরে বিস্ফোরণে রেল লাইনের স্লিপার ভেঙে যায়। লোকো পাইলটের একটি বড় রেল দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। আরপিএফ ও ওড়িশা পুলিশ যৌথ তদন্ত শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

কয়েক মাস আগে যৌথ বাহিনীর গুলিতে মাওবাদী সংগঠনের মহাসচিব বাসবরাজ ওরফে নম্বালা কেশবরাওয়ের মৃত্যুর প্রতিবাদে ৩ অগাস্ট পাঁচ রাজ্যে বন্‌ধের ডাক দিয়েছে সিপিআই (মাওবাদী)। ২৮ জুলাই থেকে ৩ অগাস্ট সিপিআই মাওবাদীরা শহিদ সপ্তাহও পালন করছে। ওই শহিদ সপ্তাহের শেষ দিন ৩ অগাস্টে বনধের ডাক দেওয়া হয়। ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তর ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ এবং আসামে এই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে।

২১ মে বুধবার ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের নারায়ণপুর জেলার জঙ্গলে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ২৮ জন সঙ্গী-সহ নিহত হয় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজ। এই ব্যক্তি নিষিদ্ধ ঘোষিত ইন্ডিয়ান কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) এর সাধারণ সম্পাদকও ছিল। সে ১৯৭০ সাল থেকে নকশাল আন্দোলনের অংশ ছিল এবং সারা দেশে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি তাকে খুঁজছিল। বাসবরাজের মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা।

TAGS:
POST A COMMENT
Advertisement