সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর। টানা ছুটি পেতে চলেছেন সরকারি কর্মীরা। টানা ছুটির জেরে কোথাও চাইলে বেড়াতে যেতে পারেন সরকারি কর্মীরা। সেই ছুটি শুরু হবে ২৩ মার্চ থেকে। চলবে একেবারে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। তাহলে আর দেরি কেন, যদি চান তাহলে এখনই কোথাও যাওয়ার প্ল্যান করে নিতে পারেন।
ক্যালন্ডার অনুযায়ী, এই ছুটি শুরু হচ্ছে ২৩ মার্চ। সেদিন শনিবার। রবিবার ২৪ মার্চ। অর্থাৎ ওই দুইদিন এমনিতেই ছুটি থাকবে। ঠিক তারপপ পরদিন অর্থাৎ সোমবার ২৫ মার্চ আবার হোলিষ সেদিনও ছুটি থাকবে। ২৬, ২৭ ও ২৮ তারিখ কোনও ছুটি নেই। এই তিনদিন লিভ নিলে টানা ছুটি পাওয়া যাবে। কারণ, ২৯ মার্চ হল গুড ফ্রাইডে। সেদিন ছুটি থাকবে। তারপর ৩০ ও ৩১ মার্চ আবার যথাক্রমে শনি ও রবিবার। তাই ওই দুইদিনও ছুটি থাকছে। তাই সেই ২৩ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত টানা ছুটি কাটাতে পারবেন। যদি আপনারা ২৬, ২৭ ও ২৮ তারিখ ছুটি নেন।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা প্রয়োজন, মার্চ মাসেও ব্যাঙ্ক ছুটি থাকবে অনেকদিন। সেই মাসে সারাদেশে অন্তত ১৪ দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে। শিবরাত্রির পাশাপাশি এই মাসে হোলি-দোল উৎসবও রয়েছে। জাতীয় ও আঞ্চলিক ছুটির পাশাপাশি দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবারও ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে। প্রতি রবিবারও ব্যাঙ্ক ছুটি। ব্যাঙ্ক ছুটির ক্যালেন্ডার ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) দ্বারা জারি করা হয়।
তবে ব্যাঙ্ক ছুটি থাকলেও অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।তবে ব্যাঙ্ক বন্ধ হওয়ার তারিখগুলি আগে থেকেই জেনে রাখলে আপনি সহজেই আপনার কাজের পরিকল্পনা করতে পারবেন। ব্যাঙ্ক ছুটি যে দিনগুলোতে থাকবে সেগুলো হল-
১ মার্চ: চুপচাপ কুট (মিজোরাম), ৩ মার্চ: রবিবারের কারণে ছুটি , ৮ মার্চ: মহাশিবরাত্রি , ৯ মার্চ: মাসের দ্বিতীয় শনিবার, ১০ মার্চ: রবিবারের কারণে ছুটি , ১৭ মার্চ: রবিবারের কারণে ছুটি , ২২ মার্চ: বিহার দিবস (বিহার), ২৩ মার্চ: মাসের চতুর্থ শনিবার, ২৪ মার্চ: রবিবারের ছুটির দিন, ২৫ মার্চ: হোলি (কর্নাটক, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, মণিপুর, কেরালা, নাগাল্যান্ড, বিহার, শ্রীনগর ছাড়া), ২৬ মার্চ: ইয়াওসাং দ্বিতীয় দিন/হোলি (ওড়িশা, মণিপুর, বিহার), ২৭ মার্চ: হোলি, ২৯ মার্চ: গুড ফ্রাইডে (ত্রিপুরা, অসম, রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ বাদে), ৩১ মার্চ: রবিবার ছুটির দিন
উপরের তালিকায় সাধারণ তথ্য দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্য ভিত্তিতে ছুটির তারিখ পরিবর্তন হতে পারে। তাই ব্যাঙ্ক বন্ধ সম্পর্কে সঠিক তথ্যের জন্য আপনার ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইট বা শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করাও গুরুত্বপূর্ণ৷