প্রকাশ্যে গুলি করে খুন মেয়র-কে, আতঙ্কে কাঁপছে শহর

প্রকাশ্যে শহরের মেয়রকে গুলি করে খুন। আতঙ্কে কাঁপছে গোটা শহর। খুব কাছ থেকে বাইকে করে এসে দুষ্কৃতীরা মেয়রকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তিনটি গুলি লাগে মেয়রের বুকে।

Advertisement
প্রকাশ্যে গুলি করে খুন মেয়র-কে, আতঙ্কে কাঁপছে শহরপ্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • প্রকাশ্য়ে গুলি মেয়রকে লক্ষ্য করে
  • মেয়রের বুকে তিনটি গুলি লাগে
  • হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর

প্রকাশ্যে খুন মেয়র

প্রকাশ্যে শহরের মেয়রকে গুলি করে খুন। অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের পরপর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে লুটিয়ে পড়লেন তিনি। দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যাওয়ার পর তড়িঘড়ি তাঁকে আশপাশের লোকজন মিলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সম্ভবত রাস্তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

দলীয় বৈঠক সেরে ফিরছিলেন তিনি

গোটা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের কাটিহার-এ। মেয়রের নাম শিবরাজ পাশওয়ান। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি একটি দলীয় বৈঠক সেরে ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। অপরাধীরা সংখ্যায় একাধিক ছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে অনুসরণ করে আসছিল তারা বলে মনে করা হচ্ছে। বাইকে করে আসে দুষ্কৃতীরা।

খুব কাছ থেকে বাইকে করে এসে গুলি চালানো হয়

শিবরাজের বাড়ি এলাকার সন্তোষ কলোনিতে। বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। বাইকে করে সে সময় দুষ্কৃতীরা এসে তার ওপর গুলি চালায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পরপর তিনটি গুলি তাঁর বুক লক্ষ্য করে চালায় আততায়ীরা। সম্ভবত আরও বেশি গুলি চালানো হয়েছিল। কিন্তু তিনটি তাঁর বুকে লাগে।

মেয়র খুনে আতঙ্কে গোটা এলাকা

গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য-এর পাশাপাশি বিহারের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। গোটা দেশে এখন চর্চার বিষয় এই খুন। বিহারের মেয়র এর মতো প্রভাবশালী এবং হাই সিকিউরিটি পার্সোনকে যদি এভাবে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায় ? এই ঘটনায় বিহারের এসডিপিও অমরকান্ত ঝা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করে কোনও কিছু বোঝা যাচ্ছে না। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে। খুব দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে পুলিশ।

ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এই ঘটনা

এর আগেও চলতি বছরে একাধিক এমন ঘটনা ঘটেছে বিহারের বিভিন্ন জায়গায়। তবে মেয়র বা প্রভাবশালী এমন কোনও ব্যক্তিত্বের খুন এর মধ্য়ে ঘটেনি। সে কারণে হইচই ও তোলপাড় বেশি হচ্ছে । পুলিশের প্রাথমিক ধারণা ব্যক্তিগত কিংবা কোনও স্থানীয় কোনও ঘটনার প্রেক্ষিতে রেষারেষি বা শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement