জ্যোতি মলহোত্রাকে নিয়ে সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। একাধিকবার পাকিস্তানে গিয়েছিল জ্যোতি। সেই খবর আগেই জানা গিয়েছিল। এখন জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানে রীতিমতো বডিগার্ড নিয়ে ঘুরত সে। ছয়জন বডিগার্ড তাকে পাহারা দিত। তাদের প্রত্যেকের হাতে থাকত AK-47। সম্প্রতি একজন স্কটিশ কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের ভিডিও সামনে এসেছে। সেখানে বন্দুধারীদের ঘেরাটোপে দেখাও গেছে জ্যোতিকে।
সামনে আসা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, স্কটিশ কন্টেন্ট ক্রিয়েটয় রাস্তায় ভিডিও করছেন। তিনি চা খাচ্ছেন। পাকিস্তানের জনপ্রিয় আনারকলি মার্কেটে যাচ্ছেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা হয় জ্যোতি মলহোত্রার। জ্যোতি নিজের পরিচয় দেয় সেই ইউটিউবারের কাছে। দুজনের মধ্যে ইন্ডিয়া নিয়েও কথা হয়। তারপর জ্যোতি চলে যান।
ঠিক তখন জ্যোতির সামনে পিছনে প্রায় ৬ জন বন্দুকধারীকে দেখা যায়। তাদের প্রত্যেকের হাতে ছিল AK-47। প্রত্যেকের পরনে ছিল সবুজ কালো রঙের জ্যাকেট ও মাথায় কালো টুপি। বন্দুকধারীদের দেখে অবাক হয়ে যান সেই স্কটিশ ইউটিউবার। তিনি বলতে থাকেন, 'আমি তো বুঝতেই পারছি না কী হচ্ছে। কেন এত বন্দুকধারী। একজন ইউটিউবারের এত নিরাপত্তা কেন। মেয়েটিকে ঘিরে রেখেছে বন্দুকধারীরা।'
এই ভিডিও প্রকাশের পর জ্যোতিকে নিয়ে ফের একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যেমন, জ্যোতি কি কেবল একজন ভ্লগার না এর পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল? পাকিস্তানে জ্যোতির এত সুরক্ষার প্রয়োজন কেন? জ্যোতিকে যারা নিরাপত্তা দিচ্ছিল তারা কি সরকারি কর্মী না অন্য কোনও সংগঠনের?
কয়েকদিন আগে হরিয়ানা থেকে জ্যোতি মলহোত্রাকে গ্রেফতার করে হিসার পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে। জ্যোতির সঙ্গে যোগাযাগ ছিল পাকিস্তান হাইকমিশনে কর্মরত অফিসার দানিশের। সেই দানিশ একজন পাক গুপ্তচর। যা পরে জানতে পারেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। প্রাথমিক তদন্তে জ্যোতির সঙ্গে পাকিস্তানের যোগসূত্রের প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে এখনও সেই বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানোনো হয়নি। এদিকে এই বিতর্কের মধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে এক সিআরপিএফ জওয়ানও। তাকেও গ্রেফতার করেছে এনআইএ। টাকার বিনিময়ে সে পাকিস্তানে তথ্য পাচার করত বলে অভিযোগ।