বাংলার মতো বিপদ এবার পড়শিরাজ্য বিহারেও। হাজার হাজার শিক্ষকের চাকরি বিপদের মুখে পড়েছে সেখানে। ২০০৬ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে যেসব শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁরাই রয়েছেন বিপদের মধ্যে। সাড়ে তিন লাখেরও বেশি কর্মরত শিক্ষক রয়েছেন, যাদের মধ্যে প্রায় ৭০ থেকে ৭৭ হাজার চাকরি হারাতে পারেন।
বিপদে ৭৭ হাজার শিক্ষক
তথ্য অনুযায়ী, ৭৭ হাজার শিক্ষকের নিয়মিত ফোল্ডারে নথি পাওয়া যায়নি। এই অবহেলার জন্য মামলায় দায়ের হয়। ২০০৬ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং বিহারের শিক্ষা বিভাগ ২০২২ সালে একটি নির্দিষ্ট ফোল্ডারে ওই শিক্ষকদের তথ্য আপলোড করতে বলেছিল। সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। এমতাবস্থায় অবহেলার জন্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে শিক্ষা বিভাগ। হাজার হাজার শিক্ষক চাকরি হারাতে পারেন।
বেতন আদায়ের পরিকল্পনাও রয়েছে
এ বিষয়ে সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি দেওয়া হলেও এখনো কাগজপত্র আপলোড করা হয়নি। বলা হচ্ছে, ফোল্ডারগুলো খালি থাকলে শিক্ষক নিয়োগ সম্পূর্ণ বেআইনি বলে ধরে নেওয়া হবে। এরপর মনিটরিং ব্যুরো কর্তৃক জারি করা বেতন আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। ২০০৬ থেকে মে ২০১৫ এর মধ্যে, বিহারে মোট ৩.৫২ লক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। এতে দুহাজার ৮২ জন গ্রন্থাগারিকও রয়েছেন। ৩,১১,০০০ প্রাথমিক শিক্ষক এবং বাকি ১,0৪,০০০ ছিলেন শিক্ষা মিত্র। তাঁদের ১৫০০ টাকা সম্মানীতে পুনর্বহাল করা হয়। পরে পঞ্চায়েত শিক্ষক পদে উন্নীত হন। তাঁদের বিরুদ্ধেও একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছিল।
অন্য শিক্ষকদেরও ভয়
অন্যদিকে, আরেকটি ঘটনায় আরও কয়েকজন শিক্ষক চাকরি হারাচ্ছেন। এরাই সেই শিক্ষক যারা ১৯ অক্টোবর, ২০২২ পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নেননি। এমনকি সব জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষা বিভাগ। প্রাথমিক শিক্ষার ডিরেক্টর রবি প্রকাশ তাঁর চিঠিতে লিখেছেন যে, এখন রাজ্যে প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকদের চাকরি বন্ধ করা হবে। তবে এই ধরনের শিক্ষকরা তাদের চাকরিতে থাকবেন, যারা ৩১ মার্চ, ২০১৯ এর পরে এবং ১৯ অক্টোবর, ২০২২ পর্যন্ত তাদের প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন।
আরও পড়ুন- সেলফি তুলতে উঠেছিলেন ব্যক্তি, আটকে গেল বন্দে ভারতের অটোমেটিক দরজা...