ভূমিধসে কেরলের ওয়েনাড যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫৮। এখনও অনেকে নিখোঁজ। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে দেহ উদ্ধারে সাহায্য নেওয়া হয়েছে ড্রোনের। ব়্যাডারের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। স্নিফার ডগকে নিয়েও চলছে তল্লাশি।
উদ্ধারকাজের জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে বিশেষ ব়্যাডারের সাহায্য চেয়েছে কেরল সরকার। সেই মতো বিশেষ ব়্যাডার পাঠানো হয়েছে ওয়েনাডে। ভূমিধসে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ জখম হয়েছেন। চারদিকে ধ্বংসের ছবি। বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। রাস্তা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে সেতু।
জানা গিয়েছে, ২০০ জনেরও বেশি মানুষ এখনও নিখোঁজ। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। ভারতীয় সেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, কেরল পুলিশ উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছ। উদ্ধারকাজ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার ওয়েনাডে যাবেন মালওয়ালাম সুপারস্টার মোহনলাল।
অন্য দিকে, দুর্যোগের মধ্যেই ওয়েনাডে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। শনি এবং রবিবার ওয়েনাডে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। ৬ অগস্ট পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার ওয়েনাডে যান কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন তাঁরা। ওয়েনাডের পরিস্থিতি দেখে আবেগঘন হয়ে পড়েন রাহুল। সাংবাদিকদের সামনে বাবাকে হারানোর কথার অনুভূতি তুলে ধরেন তিনি। রাহুল বলেন, 'এটা ওয়েনাডের জন্য, কেরল এবং জাতির জন্য একটি ভয়ঙ্কর বিপর্যয়। আমরা পরিস্থিতি দেখতে এখানে এসেছি। কত মানুষ পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছে তা বেদনাদায়ক। আমরা সাহায্য করব। আমি নার্স, প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ জানাই। এটি নিশ্চিতভাবে জাতীয় বিপর্যয়। এবার দেখা যাক সরকার কী বলে।' এরপরেই রাহুল বলেন, 'আমি জানি বাবাকে হারানোর কষ্ট কেমন ছিল। আমার বাবাকে হারানোর কথা মনে আছে। এখানে শুধু বাবা নয়, কেউ বাবাকে হারিয়েছেন, কেউ মা, ভাই, বোন গোটা পরিবারকে হারিয়েছে। আমি জানি আমার কষ্টের থেকে এটি কয়েকগুণ বেশি। আমার জন্য দিনটি খুবই কঠিন।'