ইরাকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। পূর্ব ইরাকের আল কুট শহরের এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। আরও অনেকের মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন শিশু ও মহিলা। ওই অঞ্চলের রাজ্যপাল মহম্মদ আলি মিহায়ি এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি পাঁচতলা বিল্ডিং আগুনের কবলে। দাও দাও করে জ্বলছে। আর দমকলকর্মীররা আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।
আল কুট শহরের এই মলটি নতুন। মাত্র ৫ দিন আগেই খোলা হয়েছিল। নতুন জায়গায় কীভাবে আগুন লাগল তা পরিষ্কার নয়। রয়টার্সের প্রতিবেদনে প্রকাশ, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকৃত তথ্য জানা যাবে। সেজন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রাজ্যপাল মহম্মদ আলি মিহায়ি আবার জানিয়েছেন, ওই বিল্ডিংটি নিয়ম মেনে তৈরি হয়েছিল কি না সেটা খতিয়ে দেখা হবে। সেখানকার অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। গোটা বিষয়টি এখন তদন্তের আওতায়। রাজ্যপাল বলেন, 'অনেকে ওখানে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন। তখনই আগুন লাগে। সেখানে আগুু নেভানোর কাজ শুরু হয়। ভোর চারটে পর্যন্ত অগ্নিদগ্ধ লোকজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শহরের কাছেই এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের।' এদিকে এই ঘটনায় তিনদিনের জাতীয় শোক পালনের কথা ঘোষণা করেছে ইরাক প্রশাসন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ৫০ জনের দেহ উদ্ধার হলেও এখনও অনেকে নিখোঁজ। তাঁরা শপিংমলের ভিতর আটকে রয়েছেন কি না সেটা দেখা হচছে।
এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেউই হাসপাতালের সামনে ভিড় জমায় সাধারণ মানুষ। অনেকে এখনও ভিতরে রয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা। একজন চিকিৎসক বলেন, 'এই দৃশ্য চোখে দেখার মতো নয়। একই পরিবারের ৫ জন মারা গিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে এসি থেকে আগুন লেগে তা ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। অনেকেই বাইরে বেরোতে সক্ষম হন। আবার ভিতরে আটকে পড়েন কেউ কেউ।'
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপির একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, শপিংমলটি মাত্র পাঁচ দিন আগে উদ্বোধন করা হয়েছিল। প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগুনের সূত্রপাত প্রথম তলা থেকে হয়েছে।
এদিকে রয়টার্স যদিও জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের জেরে এখনও নিখোঁজ ১১ জন। কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ইতিমধ্যেই ৫৯ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। অনেকর মৃতদেহ এতটাই পুড়েছে যে শনাক্ত করা যাচ্ছে না।