Mother kills son: পরকীয়ায় বাধা, ১০ বছরের ছেলেকে পিস পিস করে স্যুটকেসে ভরল মা

গুয়াহাটির বন বিভাগের অফিসের কাছে একটি নির্জন রাস্তায় একটি স্যুটকেসের ভিতর থেকে উদ্ধার হল ১০ বছরের এক শিশুর বিকৃত মৃতদেহ। এই ঘটনার জেরে শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য ও ক্ষোভ। তদন্তে নেমে পুলিশ যে তথ্য পেয়েছে, তা আরও ভয়াবহ – ওই শিশুকে খুন করেছে তার নিজের মা দীপালি রাজবংশী এবং তার প্রেমিক জ্যোতিময় হালোই।

Advertisement
পরকীয়ায় বাধা, ১০ বছরের ছেলেকে পিস পিস  করে স্যুটকেসে ভরল মা
হাইলাইটস
  • গুয়াহাটির বন বিভাগের অফিসের কাছে একটি নির্জন রাস্তায় একটি স্যুটকেসের ভিতর থেকে উদ্ধার হল ১০ বছরের এক শিশুর বিকৃত মৃতদেহ।
  • এই ঘটনার জেরে শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য ও ক্ষোভ।

গুয়াহাটির বন বিভাগের অফিসের কাছে একটি নির্জন রাস্তায় একটি স্যুটকেসের ভিতর থেকে উদ্ধার হল ১০ বছরের এক শিশুর বিকৃত মৃতদেহ। এই ঘটনার জেরে শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য ও ক্ষোভ। তদন্তে নেমে পুলিশ যে তথ্য পেয়েছে, তা আরও ভয়াবহ – ওই শিশুকে খুন করেছে তার নিজের মা দীপালি রাজবংশী এবং তার প্রেমিক জ্যোতিময় হালোই।

কী ঘটেছিল?
নিহত শিশুটির নাম মৃন্ময় বর্মণ। সে নবোদয় জাতীয় বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল। স্থানীয় এক বর্জ্য সংগ্রাহক রবিবার সকালে স্যুটকেসটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। এরপর স্যুটকেস খুলতেই দেখা যায় শিশুটির মৃতদেহ ভেতরে ভরা। সেটি বিকৃত হয়ে রয়েছে। 

হত্যার পিছনে মা ও প্রেমিকের ষড়যন্ত্র
প্রাথমিকভাবে দীপালি রাজবংশী পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তার ছেলে নিখোঁজ। তিনি থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেন। কিন্তু পুলিশের জেরায় তার বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এরপর তদন্ত ঘনিয়ে আসে দীপালি ও তার প্রেমিকের দিকে। দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা খুনের কথা স্বীকার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, দীপালি এক ক্লিনিকে কর্মরত ছিলেন এবং সম্প্রতি স্বামী বিকাশ বর্মণের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন। সেই সময় থেকেই জ্যোতিময় হালোই, যিনি অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেল অফিসে অস্থায়ী পিয়নের কাজ করেন, তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

পরিকল্পনা করে খুন
পুলিশ সূত্রে খবর, এই হত্যাকাণ্ড ছিল সুপরিকল্পিত। প্রেমিকের সঙ্গে মিলে দীপালি তার ছেলেকে খুন করেন এবং স্যুটকেসে ভরে তা ফেলে দেন শহরের এক কোণায়। হত্যার পিছনে মানসিক ও পারিবারিক জটিলতা যেমন ছিল, তেমনই ওই সম্পর্কের ভবিষ্যতের পথে ‘অবাঞ্ছিত বাধা’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল শিশুটি – এমনটাই অনুমান তদন্তকারীদের।

তদন্তে নেমেছে পুলিশ
ঘটনার পর দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। দীপালিকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। পুলিশ শিশুটির স্কুলব্যাগও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে এবং হত্যাকাণ্ডের পূর্ণ বিবরণ পাওয়ার জন্য দু’জন অভিযুক্তকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঘটনার পুনর্নির্মাণে। একজন ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘিরে গোটা গুয়াহাটি জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। সন্তানকে এমনভাবে খুন করার মতো ঘটনায় সাধারণ মানুষ স্তম্ভিত। পুলিশ এই ঘটনায় আরও গভীর তদন্ত করছে।

 

POST A COMMENT
Advertisement