মুম্বইয়ের একটি স্বনামধন্য বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অভিযোগ, তিনি এক কিশোর ছাত্রকে টানা এক বছর ধরে ধর্ষণ করেছেন। ঘটনাস্থল ছিল পাঁচতারা হোটেল সহ একাধিক স্থান। শুধু তাই নয়, ছেলেটিকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করতে তাঁকে নিয়মিত অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট ওষুধ খাওয়াতেন বলেও অভিযোগ।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে পকসো আইন ও অনান্য আইনের ধারায় গ্রেফতার করেছে মুম্বইয়ের দাদার থানার পুলিশ। বর্তমানে অভিযুক্ত পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
নির্যাতিত ছাত্রটির পরিবার জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে ছেলেটির আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর, শিক্ষিকা নিজে দেখা না করে তাঁর গৃহপরিচারিকাকে ছাত্রটির বাড়িতে পাঠিয়ে দেখা করার জন্য চাপ দেন। তাতেই ভীত হয়ে পড়া ছেলেটি অবশেষে তার বাবা-মাকে সমস্ত ঘটনা জানায়। এরপরেই দাদার থানায় অভিযোগ দায়ের হয় এবং শিক্ষিকাকে দ্রুত গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় শিক্ষাজগতে ফের একবার নেমে এসেছে নৈতিকতা ও নিরাপত্তা ঘিরে প্রশ্নের ঝড়। ঘটনা ঘটেছে এমন সময়ে, যখন র কসবা ল কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে ওই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ও তৃণমূল যুব সংগঠনের প্রাক্তন নেতা মনোজিৎ মিশ্র এবং আরও দুই ছাত্র।
কলেজ ক্যাম্পাসেই ঘটে যাওয়া এই ধর্ষণ-কাণ্ডের পরে একাধিক ছাত্রী মনোজিতের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও হুমকির অভিযোগ এনেছেন। এক নির্যাতিতার দাবি, অন্তত ১৫ জন ছাত্রী মনোজিতের যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।