দিল্লির লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ থেকে অনুপ্রবেশ নিয়ে বড় বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'অনুপ্রবেশ বরদাস্ত করব না। এর জন্য ডেমোগ্রাফি মিশন চালু হবে দেশে।'
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাবি, অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করছে। বিশেষত স্পর্শকাতর সীমান্ত এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশ রুখতে এবার বিশেষ মিশন চালু করবে কেন্দ্র।
নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'হাই-পাওয়ার ডেমোক্রেটিক মিশন ইতিমধ্যেই অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে। জাতীয় সুরক্ষায় প্রভাব ফেলা অনুপ্রবেশ রুখতেই এই কড়া অবস্থান।' শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, 'অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের কর্মসংস্থানে প্রভাব ফেলছে। টার্গেট করা হচ্ছে মহিলাদের। সামাজিক কাঠামোকে নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। অনিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যাগত পরিবর্তন ভারতের স্থিতিশীলতার জন্য বড়সড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।'
সাম্প্রতিক বেআইনি অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত অভিযোগের মধ্যেই এই নয়া মিশনের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সীমান্ত দিয়ে বেআইনি প্রবেশ রোখা, সীমান্তে সুরক্ষা বাড়ানো এবং সাংস্কৃতি ও সামাজিক পরিচিতি সুরক্ষিত রাখার উদ্দেশ্য নিয়েই এই মিশন বলে উল্লেখ করেছেন নমো। গত কয়েক মাস ধরে দেশের নানা প্রান্ত থেকে একাধিক বেআইনি বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেফতার হয়েছে। তাদের কারও কাজে কোনও বৈধ কাগজ দেখা যায়নি। ফলে এদিন নাম না করে তিনি যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কথাই বলতে চেয়েছেন, তেমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'জনসংখ্যাগত পরিবর্তন কেবলমাত্র সামাজিক পরিবর্তন নয়। এটা জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রেও হুঁশিয়ারির সমান।'
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় দুর্গাপুরে একটি জনসভা করেছিলেন। সেখানে মঞ্চ থেকেও এই একই ইস্যুতে গর্জে উঠেছিলেন তিনি। নমো বলেছিলেন, 'অনুপ্রবেশকারীদের দেশে কোনও জায়গা নেই। যে ভারতের নাগরিক নয়, বেআইনি ভাবে ঢুকেছে, তাদের বিরুদ্ধে সংবিধান মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা মোদীর গ্যারান্টি।'
উল্লেখ্য, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে রাজনৈতিক তরজা বরাবরের। সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রের। কাঁটাতার আগলে রাখে BSF। তা সত্ত্বেও কীভাবে অনুপ্রবেশ হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে একাধিকবার সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।