প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ট্রাম্পের বন্ধুত্বের জেরে ভারতের ক্ষতি হয়েছে। তার মূল্যও চোকাতে হয়েছে দেশকে। মন্তব্য করলেন কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও এই প্রথম নয়, আগেও কংগ্রেস-সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলো বিদেশনীতি ইস্যুতে মোদীকে দোষারোপ করেছিল।
মোদী ও ট্রাম্পকে কেন তিনি বন্ধু বলেছেন তার ব্যাখ্যাও দেন খাড়গে। তাঁর মতে, দুজনেই একে অপরের ভোটে প্রচার করেছিলেন। সেই সময় মোদী এর পরিণতি বা ফলাফল নিয়ে ওয়াকিবহাল ছিলেন না। কিন্তু এখন বুঝতে পারছেন। রাজ্য়সভার বিরোধী দলনেতার দাবি, ভারতের অনেক ক্ষতি হয়েছে ওই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য।
তাঁর কথায়, 'ট্রাম্প এবং মোদী বন্ধু হতে পারেন। কিন্তু মোদী জাতির শত্রুতে নিজেকে পরিণত করে ফেলেছেন। তিনি দেশের ভারসাম্য নষ্ট করছেন।' কারণ হিসেবে আরও বলেন, 'ট্রাম্প বিশাল শুল্ক আরোপ করেছেন। এই ৫০ শতাংশ শুল্কের জেরে আমাদের দেশের মানুষের ক্ষতি হবে।' প্রধানমন্ত্রী মোদীর সমালোচনা করে খাড়গে বলেন, 'আপনি আপনার আদর্শে অবিচল থাকুন। দেশের জনগণকে রক্ষা করুন। দেশ সবার আগে। সেক্ষেত্রে বন্ধুত্ব গৌণ।' বিদেশনীতি নিয়ে ভারতের কী অবস্থান বরাবর থেকেছে সেটাও মোদীকে মনে করিয়ে দিয়েছেন খাড়গে।
সম্প্রতি GSTর স্ল্য়াবে পরিবর্তন আনার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। খাড়গের দাবি, কংগ্রেস এই পরিবর্তনের কথা ৮ বছর আগে থেকেই জানিয়ে আসছিল। তখন বিজেপি পরিচালিত সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। তাঁর কথায়, 'আমরা আট বছর আগে এই বিষয়টি উত্থাপন করেছিলাম। তখনই বলেছিলাম, দুটি স্ল্যাব থাকলে দরিদ্র মানুষের উপকার হবে। কিন্তু তখন চার থেকে ৫টা স্ল্যাব বানিয়ে লুটপাট চালানো হয়েছে। এখন নির্বাচনের আগে সংশোধন করা হল ভোটব্যাঙ্ক ঠিক রাখতে।'
জাতীয় স্বার্থে বিরোধীরা সরকারের সঙ্গে থাকলেও মোদীকে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে দেবেন না, এই দাবিও করেন খাড়গে। বলেন, 'দেশের স্বার্থে আমরা সবাই এক ও ঐক্যবদ্ধ। তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু তার অর্থ এটা নয় যে, কেউ যা ইচ্ছে তাই করলে বা ক্ষমতার অপব্যবহার করলে আমরা সমর্থন করব।'