চিনের (China) সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা হোক বা করোনা (Corona) মোকাবিলা, সব ক্ষেত্রেই নিজের নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narenda Modi)। কিন্তু তার পরেও দেখা যাচ্ছে কোনও কোনও জায়গায় এখনও পর্যন্ত সেভাবে জনপ্রিয়তা পাননি প্রধানমন্ত্রী। এই বিষয়ে দেশের মনোভাব জানতে আজতকের হয়ে সমীক্ষা চালালো একটি সংস্থা।
সমীক্ষা অনুযায়ী দেশের অন্যান্য অংশে যেভাবে বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রভাব পড়েছে তেমনটা দেশের দক্ষিণে দেখা যাচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ ভারতে মোদীর জনপ্রিয়তা সবচেয়ে কম। সেখানে মাত্র ৬৩ শতাংশ মানুষ মোদীকে পছন্দ করেন। এছাড়া সমীক্ষা বলছে মুসলমানরা এখনও মোদী ও এনডিএ-র ওপরে বিশেষ খুশি নয়। অন্যান্য সম্প্রদায়ের তুলনায় মুসলমান সম্প্রদায়ের থেকে অনেকটাই কম রেটিং পেয়েছে সরকার। মাত্র ৩৮ শতাংশ মুসলমানের ইতিবাচক রেটিং পেয়েছে কেন্দ্র।
নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দ্বিতীয়বার ক্ষমতার আসতে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে বিজেপির হিন্দুত্ব নীতি। তাতে সমর্থন দেয় আরএসএস-ও। সমীক্ষা অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার রায় ও রামমন্দির তৈরির নির্দেশ এবং কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা রদক মোদী সরকারে সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছেন মানুষ। এই দুই ইস্যু দীর্ঘদিন বিজেপি ও সংঘ পরিবারের তালিকাতেও ছিল।
সমীক্ষা অনুযায়ী এই মুহূর্তে রাজনৈতিক দিক থেকে মোদীর কোনও আশঙ্কা নেই। বিশেষজ্ঞর মতে, এখন আর বিশেষ কোনও ইস্যু দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা নির্ধারিত যায় না, কারণ ৩৭০ ধারা রদ থেকে আকাশ পথে পাকিস্তানে পালটা হামলার মত বিষয়গুলির মধ্যে দিয়ে তাঁর ভাবমূর্তি একজন শক্তিশালী নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছ। সমীক্ষা বলছে ৩৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন নরেন্দ্র মোদীর আবারও প্রধানমন্ত্রী হাওয়া উচিৎ।