'কংগ্রেসের থেকে 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ' আশা করা বৃথা। ওদের রোডম্যাপের সঙ্গে খাপ খায় না। এটা ওদের চিন্তাভাবনা এবং বোধগম্যতার বাইরে'। রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের প্রেক্ষিতে ধন্যবাদ প্রস্তাবে এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও একবার পারিবারিক দল বলে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন মোদী। তাঁর কথায়,'এত বড় একটা দল একটা পরিবারের জন্য উৎসর্গীকৃত হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের মডেলে পরিবারই প্রথম। দেশের মানুষ আমাদের টানা তৃতীয়বারের জন্য সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। এতে বোঝা যায়, দেশের মানুষ আমাদের উন্নয়ন মডেল বুঝতে পেরেছেন এবং সমর্থন করেছেন। যদি আমাকে এক কথায় আমাদের মডেল বর্ণনা করতে হয়, তাহলে আমি বলব - দেশই প্রথম'।
'২০১৪ সালে দেশকে বিকল্প মডেল'
২০১৪ সালের পর দেশের কাছে বিকল্প মডেল তুলে ধরেছেন বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন,'দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিকল্প মডেল কী হওয়া উচিত তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার কোনও সুযোগ ছিল না। ২০১৪ সালে আমরা দেশকে বিকল্প মডেল দিয়েছিলাম। জনসাধারণ আমাদের মডেল গ্রহণ করেছে। আমি তোষণের নয়, তুষ্টির মডেল দিয়েছি। কংগ্রেসের নীতি ছিল নির্বাচনের সময় সমাজের ছোট অংশকে কিছু দিয়ে দেওয়া। আর বাকিদের দুর্দশায় রেখে দাও। মানুষের চোখ বেঁধে রাজনীতি চালিয়েছিল কংগ্রেস। ওদের লক্ষ্য ছিল খালি ভোট নেওয়া। ভারতের সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি আমরা। সময়ের অপচয় করিনি। প্রতিটি মুহূর্ত জনকল্যাণ এবং দেশের অগ্রগতিতে কাজে লাগিয়েছি'।
'নারীশক্তি ও নিম্নবর্গের বিকাশ'
ওবিসি কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'দেশে যখনই সংরক্ষণের বিষয়টি উঠে এসেছে, তখনই সত্যকে গ্রহণ করে সুস্থভাবে তা করার কোনও চেষ্টা করা হয়নি। সমাজে শত্রুতা তৈরি করে এমন পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রথমবারের মতো, আমাদের সরকার এমন মডেল দিয়েছে যে আমরা সাধারণ শ্রেণির দরিদ্রদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছি। কোনও প্রতিবাদ ছাড়াই, কারও কাছ থেকে অধিকার কেড়ে না নিয়ে তা সম্ভব হয়েছে। এসসি-এসটি, ওবিসিরাও স্বাগত জানিয়েছে। কারওর পেটে ব্যথা হয়নি। এটা মেনে নিয়েছে গোটা দেশ। নারীশক্তির অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তাঁরা সুযোগ পেলে দেশকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যাবেন। নারীশক্তিকে সম্মান দিয়েই নির্মিত হয়েছে এই নতুন সংসদ ভবন'।
'কংগ্রেস বাধ্য হয়ে জয় ভীম বলছে'
মোদী বলেন, 'বাবা সাহেবের প্রতি কংগ্রেসের কতটা ঘৃণা ও ক্ষোভ ছিল তার প্রমাণ রয়েছে। বাবাসাহেবকে দু'বার নির্বাচনে হারানোর জন্য কত চেষ্টাই না হয়েছিল! বাবা সাহেবকে কখনও ভারতরত্ন পাওয়ার যোগ্য মনে করা হয়নি। এই দেশের মানুষ বাবা সাহেবের অনুভূতিকে সম্মান করত। আজ কংগ্রেস জয় ভীম বলতে বাধ্য হচ্ছে। রং বদলাতে কংগ্রেসের জুড়ি মেলা ভার! ওদের মুখোশ সবার কাছে খুলে গিয়েছে। আমাদের মূল মন্ত্র হল, সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। ওদের নীতি হল, অন্যদের ছোট করা। বিভিন্ন রাজ্যের সরকারকে অস্থিতিশীল করে তুলেছিল'।
মোদীর নিশানায় ইন্ডি জোট
লোকসভা ভোটের পর ইন্ডি জোটের শরিকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা গিয়েছে। সেটাই উস্কে দিলেন মোদী। বলেন, 'লোকসভা নির্বাচনের পর যারা ওদের সঙ্গে ছিল, তারাও পালিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের নীতির কারণেই কংগ্রেসের আজ এই হাল। দেশের সবচেয়ে পুরনো দল, স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত একটি দল, এত খারাপ অবস্থায়!'