Narendra Modi: 'সেই রাতে সর্দার প্যাটেলের কথা শোনা উচিত ছিল,' দেশভাগের কোন কাহিনি শোনালেন মোদী?

দেশভাগের সময়ে শোনা হয়নি সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের পরামর্শ। নরেন্দ্র মোদী ১৯৪৭ সালের দেশভাগের একটি ঘটনা উল্লেখ করে এমনই মন্তব্য করলেন। পাকিস্তানকে একহাত নিয়ে মোদী বলেন, এখনও কিছুই করেনি ভারত।

Advertisement
'সেই রাতে সর্দার প্যাটেলের কথা শোনা উচিত ছিল,' দেশভাগের কোন কাহিনি শোনালেন মোদী?
হাইলাইটস
  • দেশভাগের সময়ে সর্দার প্যাটেলের পরামর্শ শোনা উচিত ছিল
  • সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে ১৯৪৭-এর ঘটনা শোনালেন প্রধানমন্ত্রী
  • পাকিস্তানকে ফের কড়া ভাষায় আক্রমণ

দেশভাগের রাতেই জঙ্গিদের খতম করে দেওয়া উচিত ছিল। শোনা উচিত ছিল সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের সতর্কবাণী। এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার গুজরাতের গান্ধীনগরে দ্বিতীয় দিনের জনসভা থেকে তিনি বলেন, 'দেশভাগের সময়ে ভারতমাতা দু'টি খণ্ডে ভাগ হয়েছিলেন। সেই রাতেই মুজাহিদিনরা কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা চালিয়েছিল। সে সময়েই ওদের খতম করে দিলে ৭৫ বছর ধরে এই অশান্তি ভোগ করতে হত না। সেই রাতেই যদি মুজাহিদিনকে নিকেশ করে ফেলা যেত, সর্দার প্যাটেলের কথায় মান্যতা দেওয়া হত তবে ৭৫ বছর ধরে এই সন্ত্রাস ছড়ানোর ঘটনাই ঘটত না। ' 

পাকিস্তানকে কটাক্ষ করে নমো আরও বলেন, 'এখনও পর্যন্ত তো আমরা কিছুই করিনি। সবে মাত্র কিছু ময়লা সাফ করেছি।তাতেই ওদের ঘাম ছুটছে। সবেমাত্র বাঁধ সংস্কার করতে শুরু করেছি, তাতেই ওখানে বন্যা হয়ে গিয়েছে। আপনি যতোই সুস্বাস্থ্যের অধিকার হন না কেন, একটা কাঁটা ফুটলেও তা আপনাকে বেদনা দেয়। তবে আমরা অঙ্গীকার করেছি এই কাঁটা উপড়ে ফেলবই।' এর পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদী সকলকে অনুরোধ করেন, সকলে বিদেশি বস্তু পরিত্যাগ করে দেশি জিনিস ব্যবহার করা শুরু করলে, তবেই 'অপারেশন সিঁদুর' সফল হবে। 

পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়েও তাদের সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'পাকিস্তানের শিশুরা যেন বোঝে, তাদের সেনাবাহিনী সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। পাকিস্তানের জনগণ ও যুবসমাজের উচিত দেশকে সন্ত্রাসবাদের রোগ থেকে মুক্ত করতে এগিয়ে আসা।' সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'শান্তিপূর্ণভাবে থাকো, রুটি খাও, নাহলে আমার গুলি আছে। আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী। যে আমাদের রক্ত ঝরাবে, তাকে তার ভাষাতেই জবাব দেওয়া হবে। শান্তি চাইলে সন্ত্রাস ছাড়তে হবে, নচেৎ ভারত জবাব দিতে প্রস্তুত'। 

‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে প্রথম গুজরাত সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার ভদোদরায় তাঁর রোডশোয়ে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশির পরিবার। পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করার জন্য সিঁদুর অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেই অভিযানের বিষয়ে জনসাধারণের সামনে নিয়মিত তথ্য তুলে ধরার দায়িত্বে ছিলেন দুই মহিলা সেনা অফিসার। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কর্নেল সোফিয়া। 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement