Modi Putin: একটা ফোনেই ট্রাম্পকে বড় বার্তা মোদীর, পুতিনকে বললেন 'বন্ধু'

রাশিয়ার থেকে তেল কেনার কারণে ভারতীয় পণ্যের উপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আগেই ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন। সদ্য আরও ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করেনি ভারত, তাই এই সিদ্ধান্ত। ট্রাম্পের কথায় দীর্ঘদিনের বন্ধু রাশিয়ার সঙ্গে যে ভারত বিচ্ছেদের পথে হাঁটবে না তা কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোদী।

Advertisement
একটা ফোনেই ট্রাম্পকে বড় বার্তা মোদীর, পুতিনকে বললেন 'বন্ধু'  পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ মোদীর
হাইলাইটস
  • বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
  • এমন পরিস্থিতি মোদী-পুতিন ফোনালাপ।

রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সখ্যতায় গোঁসাঘরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুল্ক বাড়িয়ে করেছেন ৫০ শতাংশ। এই প্রেক্ষাপটেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ট্রাম্পকে পাত্তা না দিয়েই প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন আগামী দিনে ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক আরও পোক্ত হতে চলেছে।

রাশিয়ার থেকে তেল কেনার কারণে ভারতীয় পণ্যের উপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আগেই ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন। সদ্য আরও ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করেনি ভারত, তাই এই সিদ্ধান্ত। ট্রাম্পের কথায় দীর্ঘদিনের বন্ধু রাশিয়ার সঙ্গে যে ভারত বিচ্ছেদের পথে হাঁটবে না তা কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোদী। পুতিনকে 'বন্ধু' সম্বোধন করে ফোনালাপের প্রসঙ্গ নেট মাধ্যমে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এক্স হ্যান্ডেলে নরেন্দ্র মোদী লেখেন,'আমার বন্ধু প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দারুণ এবং সবিস্তারে কথা হয়েছে। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক অবস্থার কথা জানানোর জন্য ওঁকে ধন্যবাদ জানাই। দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করেছি। ভারত এবং রাশিয়া বিশেষ এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় করার বিষয়ে বদ্ধপরিকর। এ বছরে পুতিনকে ভারতে স্বাগত জানানোর জন্য মুখিয়ে আছি।'

মোদী-পুতিনের ফোনালাপ এমন একটা সময় হল, যখন ট্রাম্প নয়াদিল্লির তেল কেনা নিয়ে ক্ষুব্ধ! ২০২২ সাল থেকে সস্তায় তেল কিনছে ভারত। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার পণ্যের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পশ্চিমের দেশগুলি। কিন্তু ভারত সস্তায় তেল কেনা জারি রেখেছে। ব্যারেল পিছু অপরিশোধিত দর পড়ে ৬০ মার্কিন ডলার। এর ফলে এখন ভারতে তেল আমদানিকারক দেশ হিসেবে শীর্ষে রাশিয়া। ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরেও রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করার কোনও ঘোষণা করেনি নয়াদিল্লি। বরং বিদেশমন্ত্রক থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত 'অন্যায্য় এবং অনর্থক'।

POST A COMMENT
Advertisement