ন্যাশনাল হেরাল্ড আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে চার্জশিট এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরটের। মঙ্গলবার রাইস অ্যাভিনিউ আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলার শুনানি হওয়ার কথা ২৫ এপ্রিল।
জানা যায়, এই চার্জশিটে রাহুল ও সনিয়া গান্ধী ছাড়াও এই চার্জশিটে নাম রয়েছে শ্যাম পিত্রোঁদা, সুমন দুবে-সহ আরও অনেকের। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬৪ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ED।
এদিকে চার্জশিটের খবর সামনে আসার পর বিজেপি-কে আক্রমণ করে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এই নিয়ে ট্যুইট করেন। তিনি লেখেন, 'ন্যাশনাল হেরাল্ডের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় ঘটা অপরাধ। সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং নেতাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ আসলে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিহিংসামূলক আচরণের প্রমাণ। এমন ভীতি প্রদর্শনের রাজনীতি আর কাজে দেবে না। কংগ্রেস নেতৃত্ব কোনওভাবেই চুপ করে থাকবে না।'
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা PMLA এর ৪৪ এবং ৪৫ ধারায় অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ৩ ধারার অধীনে অর্থ পাচারের অপরাধ করেছেন। ওই আদালতের বিশেষ বিচারক বিশাল জানিয়েছেন, ২৫ এপ্রিল অর্থাৎ পরবর্তী শুনানির দিন কেস ডায়েরি দাখিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় আগেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সালে প্রথম দুর্নীতির অভিযোগ আনে বিজেপি। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী অভিযোগ করেছিলেন, এজেএল নামে সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, যার বাজারে বিপুল পরিমাণ দেনা রয়েছে। ২০১৪ সালে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী দিল্লির একটি আদালতে মামলাও দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ করা হয়, AJL-এর প্রায় দুহাজার কোটি টাকার সম্পদ ইয়াং ইন্ডিয়ান লিমিটেডের মাধ্যমে মাত্র ৫০ লক্ষ টাকার জন্য নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল।
১৯৩৮ সালে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও স্বাধীনতা সংগ্রামীরা এই পত্রিকা শুরু করেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ব্রিটিশ সরকারের নিপীড়নমূলক নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার একটি বড় প্ল্যাটফর্ম ছিল এই পত্রিকা। ন্যাশনাল হেরাল্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া এবং স্বাধীনতা আন্দোলনকে সমর্থন করা।