Navya Yojna: মাধ্যমিক পাশ করলেই আয়ের দুর্দান্ত সুযোগ, কেন্দ্রের নয়া স্কিম

কিশোরীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আত্মনির্ভর করে তুলতে কেন্দ্র চালু করতে চলেছে নতুন একটি পাইলট স্কিম — 'নব্য যোজনা'। উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের সূচনা করবেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) জয়ন্ত চৌধুরী এবং নারী ও শিশু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাবিত্রী ঠাকুর।

Advertisement
মাধ্যমিক পাশ করলেই আয়ের দুর্দান্ত সুযোগ, কেন্দ্রের নয়া স্কিমকিশোরীদের জন্য় নতুন প্রকল্প।-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • কিশোরীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
  • তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আত্মনির্ভর করে তুলতে কেন্দ্র চালু করতে চলেছে নতুন একটি পাইলট স্কিম — 'নব্য যোজনা'।

কিশোরীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আত্মনির্ভর করে তুলতে কেন্দ্র চালু করতে চলেছে নতুন একটি পাইলট স্কিম — 'নব্য যোজনা'। উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের সূচনা করবেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) জয়ন্ত চৌধুরী এবং নারী ও শিশু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাবিত্রী ঠাকুর।

‘নব্য’ কী এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
নব্য একটি পাইলট স্কিম, যার মূল লক্ষ্য হল ১৬-১৮ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েদের হাতের কাজ শেখানো। যাঁরা অন্তত মাধ্যমিক পাশ, তাদের অপ্রচলিত ক্ষেত্রগুলিতে দক্ষতা ভিত্তিক বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া। প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকবে ড্রোন চালানো, মোবাইল ফোন মেরামত, সোলার প্যানেল ইনস্টল করার মতো আধুনিক ও সময়োপযোগী বিষয়ের উপর দক্ষতা গড়ে তোলা।

এই পাইলট প্রকল্পটি ভারতের ১৯টি রাজ্য ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত মোট ২৭টি জেলায় বাস্তবায়িত করা হবে। এর মাধ্যমে সরকার কিশোরী মেয়েদের নতুন সুযোগ ও বিকল্প কর্মসংস্থানের পথ দেখাতে চায়।

সরকারের লক্ষ্য ও প্রতিশ্রুতি
‘নব্য’ স্কিমের মাধ্যমে সরকার চায় কিশোরী মেয়েদের শুধুমাত্র আর্থিকভাবে নয়, বরং মানসিক ও সামাজিক দিক দিয়েও আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে। কর্মসংস্থানমুখী প্রশিক্ষণের ফলে মেয়েরা ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হিসেবেও গড়ে উঠতে পারবেন।

এই প্রকল্প নারীনেতৃত্বাধীন উন্নয়নের একটি সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত। কেন্দ্রীয় সরকার আশা করছে, এই উদ্যোগ দীর্ঘ মেয়াদে নারী ক্ষমতায়ন, শিক্ষা-দক্ষতা এবং সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রেও একটি মাইলফলক হয়ে উঠবে।

মেয়েদের জন্য ‘নব্য’ এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলেই আশা করা হচ্ছে। সময়োপযোগী ও প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে মেয়েদের আত্মনির্ভর করে তোলার প্রয়াসে এই প্রকল্প এক অনন্য পদক্ষেপ। সফল হলে ভবিষ্যতে গোটা দেশে এটি আরও বিস্তৃতভাবে রূপায়ণের সম্ভাবনা প্রবল।


 

POST A COMMENT
Advertisement