গত ১৭ জুলাই রবিবার সারা দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে NEET পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষায় বসতে যাওয়া কেরলের কয়েকজন মহিলা পরিক্ষার্থীকে চেকিংয়ের নামে অন্তর্বাস খুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে উত্তাল কেরল।
এক ছাত্রীর পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন। অভিযোগ, ছাত্রীদের পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হয়। তাঁদের বলা হয়, চেকিংয়ের জন্য অন্তর্বাস খুলতেই হবে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে কেরলের একটি কলেজে কড়া চেকিংয়ের নামে মেয়েদের অন্তর্বাস খুলে দেওয়ার ঘটনা সামনে আসে। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন, অন্তর্বাস খুলে চেকিং করার অধিকার পরিদর্শকের আছে কি না? আসুন জেনে নিই নিয়ম কী?
আরও পড়ুন : ২১ জুলাই অবরূদ্ধ শহর? কোন রাস্তার কী হাল, জানাল কলকাতা পুলিশ
NEET-এর ড্রেস কোড
পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসার জন্য পোশাকবিধি হয়েছে। এই সংক্রান্ত তথ্য NEET-এর ইনফরমেশন ব্রাউসারেও আছে। পরীক্ষার্থীদের ফুল স্লিভ পোশাক পরে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। হালকা হিলের স্লিপার বা স্যান্ডেল পরা যেতে পারে। তবে জুতো পরা নিষেধ। প্রার্থীরা মালা, তাবিজ ইত্যাদি পরতে পারবেন না। এছাড়াও কোনও গয়না পরা নিষিদ্ধ। পরীক্ষা হলে মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ, ঘড়ি, ব্রেসলেট ইত্যাদি পরা যাবে না।
NTA-র নির্দেশ, প্রতিটি প্রার্থীর তল্লাশি করার অধিকার রয়েছে কর্তৃপক্ষের। এর জন্য মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হবে। কোনও অবস্থাতেই পরীক্ষা কেন্দ্রে নিষিদ্ধ জিনিসপত্র নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক পোশাক সম্পর্কিত নিয়ম
NTA স্পষ্ট করেছে, প্রার্থীরা ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক পোশাকে পরীক্ষার জন্য আসতে পারেন। তবে এমন পোশাক পরলে রিপোর্টিংয়ের সময়ের কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে কেন্দ্রে পৌঁছতে হবে।
অন্তর্বাস নিয়ে কী নিয়ম?
কীভাবে তল্লাশি করা হবে সে বিষয়ে ম্যানুয়ালে স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা নেই। তবে ২০১৭ সালে একই ধরনের ঘটনার পর ৪ শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। তবে শিক্ষাবিদরা ছাত্র-ছাত্রীদের পরামর্শ দিচ্ছেন, কোনওরকম ঝামেলা এড়াতে ধাতব হুক বা বোতাম আছে এমন কোনও পোশাক বা অন্তর্বাস পোশাক পরবেন না।