নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। ভারতের একমাত্র রাষ্ট্রনায়ক, যাঁর জন্মবৃত্তান্ত পাওয়া গেলেও, মৃত্যু সম্পর্কে আজ পর্যন্ত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। কেউ বলেন তাইহোকু বিমান দূর্ঘটনায় তিনি প্রাণ হারিয়েছিলেন। কেউ আবার বলেন লখনৌতে তিনি নাকি গুমনামী বাবা'র ছদ্মবেশ ধরে স্বাধীনতার পরেও বহুবছর ভারতে কাটিয়েছেন। ইতিমধ্যে নেতাজির মৃত্যু নিয়ে গবেষণা করছিলেন এক ফরাসি ঐতিহাসিক। তিনি যা বললেন, তা শুনে তো চোখ কপালে উঠে যাওয়ার জোগাড়। তাইহোকু বিমান দূর্ঘটনায় নাকি মারা যাননি সুভাষ! তাহলে? আগামী ২৩ জানুয়ারি গোটা দেশ জুড়ে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী পালিত হবে। তার আগে আসুন, গবেষকদের সেই দাবির কথা একবার শুনে নেওয়া যাক।
সালটা ১৯৯৯। মুখার্জী কমিশন ঘোষণা করে দিল যে ১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্ট তাইহোকু (বর্তমান তাইওয়ান) বিমান বন্দরে একটি দূর্ঘটনায় প্রাণ হারাননি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। কারণ ওইদিন তাইহোকু বিমান বন্দরে কোনও বিমান দূর্ঘটনাই ঘটেনি। এই ঘোষণায় গোটা দেশ জুড়ে তর্ক এবং বিতর্কের ঝড় বইতে শুরু করে। পরে অবশ্য এই কমিশনই আবার এই তত্ত্ব খারিজ করে দেয়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারও মুখার্জী কমিশনের এই রিপোর্ট মানতে চাননি। এরপর নেতাজির মৃত্যু রহস্যকে কেন্দ্র করে আবারও নতুন করে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেন।
Netaji never die in plane crash accident @IamSumanDe pic.twitter.com/QFrPIZMZzG
— 𝓐𝓽𝓪𝓷𝓾 𝓐𝓬𝓱𝓪𝓻𝔂𝓪 (@atanuacharya) August 18, 2020
ইতিমধ্যে জে বি পি মোর নামে এক ফরাসি ঐতিহাসিক দাবি করে বসেন, তাইহোকু বিমান বন্দরের ওই দূর্ঘটনায় প্রাণ হারাননি নেতাজি। নেতাজির মৃত্যু সম্পর্কে একটি গোপন রিপোর্ট তিনি পেশ করেছিলেন। সেখানে তিনি দাবি করছেন, ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত নাকি বেঁচেছিলেন সুভাষ। ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে দেশের স্বাধীনতাও তিনি দেখে গেছেন। তাঁর দাবি, নেতাজি নাকি জীবিত অবস্থাতেই পালিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, পালিয়ে ঠিক কোথায় গিয়েছিলেন, সেই ব্যাপারে কোনও তথ্য তিনি দেননি।
Why the delay to obtain the remains kept at Renkoji to conduct DNA test, if possible, & bring the same to India, if proved positive & build a befitting Memorial in Delhi.Closure must to stop fake narratives continuing to denigrate Netaji @narendramodi @AmitShah @JPNadda pic.twitter.com/HRVPTOaVUv
— Chandra Kumar Bose (@Chandrakbose) August 18, 2020
ইতিমধ্যে জাপান এবং ব্রিটিশ গবেষকরা দাবি করেছিলেন, সায়গন (বর্তমানে সিঙ্গাপুর) থেকে বিমানে চেপে টোকিও যাওয়ার সময়ই নাকি দূর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন নেতাজি। আর তখনই নাকি তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু, জাপানের এই তথ্য মানতে রাজি নন ভারতীয় নেতাজি গবেষক অনুজ ধর। সেই গল্প না হয় পরে কোনও একদিন করা যাবে।
দেখে নিন এই ভিডিওটি :