পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের বলেছেন, যদি ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ হয়, তাহলে সৌদি আরব পাকিস্তানকে রক্ষা করবে। তিনি আরও জানান যে, পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে এই সপ্তাহে স্বাক্ষরিত নতুন চুক্তিতে কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ন্যাটোর তুলনা
খাজা আসিফ পাকিস্তান-সৌদি চুক্তিকে ন্যাটোর ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেখানে 'সম্মিলিত প্রতিরক্ষা' নীতির কথা বলা হয়েছে। এর মানে, একজন সদস্যের উপর আক্রমণ হলে তা সমস্ত সদস্য রাষ্ট্রের উপর আক্রমণ হিসেবে গণ্য হবে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এই চুক্তি আক্রমণাত্মক নয়, বরং প্রতিরক্ষামূলক।
তিনি বলেন, 'যদি কোনও আক্রমণ হয়, তা সৌদি আরবের ওপর হোক বা পাকিস্তানের ওপর, আমরা একসাথে তা প্রতিরোধ করব।'
পারমাণবিক সক্ষমতার অন্তর্ভুক্তি
খাজা আসিফ আরও দাবি করেছেন যে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র সৌদি আরবের ব্যবহারের জন্য উপলব্ধ। তিনি বলেন, 'এই চুক্তির অধীনে আমাদের সক্ষমতা অবশ্যই উপলব্ধ থাকবে। পাকিস্তান সর্বদা তার পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শনের অনুমতি দিয়েছে এবং কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করেনি।'
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চুক্তিতে সকল সামরিক উপায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সৌদি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি একটি ব্যাপক প্রতিরক্ষামূলক চুক্তি, যার মধ্যে সমস্ত সামরিক উপায় অন্তর্ভুক্ত।
ভারতের প্রতিক্রিয়া
চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এর রিয়াদ সফরের সময়। ভারত সরকার জানিয়েছে, পাকিস্তান-সৌদি চুক্তি দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী সমঝোতাকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিচ্ছে। সামরিক ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা রয়টার্সকে জানান, চুক্তিটি ইসলামাবাদের পারমাণবিক ক্ষমতা এবং সৌদি আরবের অর্থায়নকে সংযুক্ত করছে, যা উভয় দেশের জন্য কৌশলগত অগ্রগতি।