ভুল ঘোষণার ফলেই পদপিষ্টের ঘোষণা বলে জানাল দিল্লি পুলিশ। প্রয়াগরাজ যাওয়ার দু’টি ট্রেনের নাম প্রায় একই! একটির নাম ‘প্রয়াগরাজ স্পেশাল’ এবং অন্যটি ‘প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস’। যার জেরে গোলযোগ হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। এই ঘোষণার পরই হুড়মুড়িয়ে ভিড় ১৪ থেকে ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে চলে যায়। তখনই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রয়াগরাজ স্পেশাল ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসার ঘোষণায় পুণ্যার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। কারণ একই নামের আরেকটি ট্রেন 'প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস' তখন ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিল।
যে যাত্রীরা ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে তাদের ট্রেনে পৌঁছতে পারেনি তারা ভেবেছিল ট্রেনটি ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দিয়েছে। শেষ মুহূর্তের আতঙ্ক এবং ভারী মালপত্র নিয়ে এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে যাতায়াতের ফলে পদপিষ্ট হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এরই মধ্যে প্রয়াগরাজগামী চারটি ট্রেন দেরিতে চলছিল। যার ফলে প্ল্যাটফর্ম ১২ থেকে ১৬ পর্যন্ত অভূতপূর্ব ভিড় হয়ে যায় বলে দাবি করে দিল্লি পুলিশ।
তবে উত্তর রেলওয়ের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিপিআরও) হিমাংশু শেখর উপাধ্যায় এটিকে "স্বাভাবিক ভিড়" বলে অভিহিত করে বলেন, কোনও ট্রেন বাতিল করা হয়নি। তাদের সময় পরিবর্তন করা হয়নি। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, মহাকুম্ভ ভক্তদের ক্রমবর্ধমান ভিড়ের জন্য অতিরিক্ত বিশেষ ট্রেন চালানো হয়েছিল। কোনও প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন করা হয়নি। তিনি এও দাবি করেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ট্রেন চলাচল নির্বিঘ্নে চলছে।
শনিবার, মহাকুম্ভ মেলার জন্য প্রয়াগরাজ অভিমুখে যাত্রীদের আকস্মিক ভিড়ের ফলে ১৮ জন পুণ্যার্থী মারা যান। অনেকে আহতও হযন। নিহতদের মধ্যে মহিলা, শিশু ও পুরুষও আছে।
রেল জানিয়েছে, মৃতদের পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। গুরুতর আহতদের জন্য ২.৫ লক্ষ টাকা; এবং সামান্য আহতদের জন্য ১ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।