Standing Committee on Communications and Information Technology: বিভিন্ন সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠনে চমকের পর চমক। দলীয় লাইনের বাইরের অনেক বিশিষ্ট নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে সংসদের স্থায়ী কমিটি। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা থেকে চারবারের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর আসনের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে এই কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিশিকান্ত দুবে এবং মহুয়া মৈত্রের মধ্যে দ্বৈরথ কারও কাছে গোপন নয়। বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউতকেও যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সদস্য জয়া বচ্চনও এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখরের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল। বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ও রাজ্যসভার সাংসদ ইলাইয়ারাজাও এই প্যানেলে রয়েছেন।
'টাকার বদলে প্রশ্ন' মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। গত বছরের অক্টোবরে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে মহুয়ার বিরুদ্ধে সংসদে প্রশ্ন করার জন্য শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করেছিলেন। বিষয়টি দিল্লি হাইকোর্টে পৌঁছে যায়। নিশিকান্ত দুবে এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহরায়কে এই ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও পোস্ট করা বা ইন্টারনেটে কোনও কনটেন্ট আপলোড করা থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন মহুয়া। হাইকোর্ট মহুয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। তবে এই বছর অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে মহুয়া মৈত্র আরও একবার কৃষ্ণনগর থেকে জিতে লোকসভায় পৌঁছতে সফল হয়েছেন। একই সঙ্গে নিশিকান্ত দুবেও টানা চতুর্থবার গোড্ডা থেকে জিতে লোকসভায় পৌঁছেছেন। একই সময়ে কঙ্গনা রানাউত হিমাচল প্রদেশের মান্ডি সংসদীয় আসন থেকে বিজেপির টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় পান। তিনি কংগ্রেস প্রার্থী বিক্রমাদিত্য সিংকে পরাজিত করে মান্ডির সাংসদ হন।
অন্যদিকে রাহুল গান্ধীকে সংসদীয় কমিটির সদস্য করে দিল সরকার। তাঁকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে। রাহুল গান্ধী বর্তমানে লোকসভার বিরোধী দলনেতা। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান পদমর্যাদা পান তিনি।