scorecardresearch
 

Nitish Kumar: বিহারে সরকার টিকবে? যত কাণ্ড পটনায়! নীতীশ নিয়ে লালু-কন্যার ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট

লোকসভা নির্বাচনের আগে বিহার রাজনীতিতে কি ফের পালাবদল হতে পারে? গত কয়েক দিন ধরে ফের এই জল্পনাই দানা বেঁধেছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে ঘিরে যাবতীয় জল্পনার সূত্রপাত ঘটেছে। আবার কি এনডিএ-র সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন নীতীশ, এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। পরিবারবাদ রাজনীতি নিয়ে সম্প্রতি নীতীশের মন্তব্য নজর কেড়েছে। তার পর পরই আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের কন্যা রোহিণী যাদবের এক বক্তব্য এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করেছে। 

Advertisement
হাইলাইটস
  • হার রাজনীতিতে কি ফের পালাবদল হতে পারে?
  • পরিবারবাদ রাজনীতি নিয়ে সম্প্রতি নীতীশের মন্তব্য নজর কেড়েছে।
  • আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের কন্যা রোহিণী যাদবের এক বক্তব্য এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করেছে। 

লোকসভা নির্বাচনের আগে বিহার রাজনীতিতে কি ফের পালাবদল হতে পারে? গত কয়েক দিন ধরে ফের এই জল্পনাই দানা বেঁধেছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে ঘিরে যাবতীয় জল্পনার সূত্রপাত। আবার কি এনডিএ-র সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন নীতীশ, এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। পরিবারবাদ রাজনীতি নিয়ে সম্প্রতি নীতীশের মন্তব্য নজর কেড়েছে। তার পর পরই আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের কন্যা রোহিণী যাদবের এক বক্তব্য এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করল।

 বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরী ঠাকুরকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। যাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নীতীশ। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসাও করেছেন নীতীশ। এর পরই কর্পূরী ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে এক সভায় নীতীশ বলেছেন যে, তাঁর দল স্বর্গীয় নেতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে। পরিবারের কাউকে দলে পদ দেওয়া হয়নি। নীতীশের এই বক্তব্য বিহারে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আলাদা তাৎপর্য পেয়েছে। কেননা, আরজেডির সঙ্গে জোটে রয়েছে নীতীশের দল। আর আরজেডিতে, লালুর পুত্রই গুরুদায়িত্বে রয়েছে। তাই নীতীশের এই বক্তব্য আরজেডির উদ্দেশে কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। 

নীতীশের এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর এক্স হ্যান্ডলে লালু-কন্যা লিখেছেন, 'অনেকেই নিজেদের ত্রুটিগুলি দেখতে পান না। কিন্তু নির্বোধের মতো অন্যদের দিকে কাদা ছোড়ে।' এর ফলে আরজেডি এবং জেডিইউয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। 

আরও পড়ুন

বিহার বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১২২। নীতীশের জেডিইউ জোট থেকে বেরোলে আরজেডি, কংগ্রেস এবং বামেদের মিলিয়ে মোট বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৪। সেক্ষেত্রে সরকারে থাকতে হলে লালু শিবিরের হাতে আরও ৮ জন বিধায়কের প্রয়োজন। সূত্রের খবর, ৮ জন বিধায়ককে হাতে পাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে লালু শিবির। জিতন রাম মানঝির হাতে রয়েছে ৪ বিধায়ক, এআইএমআইএমের হাতে রয়েছে ১ বিধায়ক। নির্দল বিধায়ক হিসাবে রয়েছেন ১ জন। এই ৬ জন লালু শিবিরকে সমর্থন জানালেও সংখ্যাটা দাঁড়াবে ১২০। অন্য দিকে, তৎপরতা শুরু হয়েছে বিহার বিজেপিতেও। দিল্লি রওনা দিয়েছেন সে রাজ্যের বিজেপি প্রধান সম্রাট চৌধুরি। 
 

Advertisement

অন্য দিকে,সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, এনডিএ-তে ফেরার প্রস্তাব যদি দেয় জেডিইউ, তা হলে তা বিবেচনা করা হবে। শাহের এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই নীতীশকে ঘিরে জোর জল্পনা দানা বেঁধেছে। অতীতে এনডিএ-র শরিক ছিল জেডিইউ। ২০২২ সালে বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে এনডিএ ত্যাগ করেন নীতীশ। হাত মেলান লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডির সঙ্গে। বিহারে তৈরি হয় জোট সরকার। তার ঠিক প্রায় ২ বছরের মাথায় আবার নীতীশকে ঘিরে জল্পনা তৈরি হল। নীতীশের জন্য এনডিএ-র দরজা বন্ধ বলে জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে সম্প্রতি শাহের বক্তব্যে অন্য সুর শোনা গেল। শাহের ওই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই বিহার রাজনীতিতে বিভিন্ন দলের মধ্যে নানা সক্রিয়তা দেখা দিয়েছে।  পুত্র তথা উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে সঙ্গে নিয়ে নীতীশের বাসভবনে গিয়েছিলেন লালু। যদিও এই বৈঠককে গুরুত্ব দিতে চাননি তেজস্বী। তিনি জানিয়েছেন, সকলেই নীতীশের নেতৃত্বে কাজ করছেন। তাঁর কথায়, 'আমাদের মধ্যে বৈঠক হতেই থাকে।'বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেছেন, 'বিহার থেকে বিজেপি মুছে যাবে।' তবে শাহের মন্তব্যের পর নীতীশের বাড়িতে লালু-তেজস্বীর বৈঠক এই পর্বে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।

Advertisement