বিহারে বড়সড় রাজনৈতিক অস্থিরতার পর, আগামিকাল দুপুর ২টোয় আবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন নীতীশ কুমার। মোট সাত দলের সহযোগিতায় এই সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। অষ্টমবারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন নীতীশ কুমার। আগামিকাল তাঁর সঙ্গে শপথ নিতে চলেছেন তেজস্বী যাদবও।
নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা নিয়েও খবর এসেছে। বলা হচ্ছে, ৩৫ মন্ত্রীর শক্তিশালী মন্ত্রিসভা দেখা যাবে। এতে JDU এবং RJD উভয় দলের খাতাতেই ১৪টি মন্ত্রিত্ব যেতে পারে। একইসঙ্গে কংগ্রেসকে তিনটি এবং বামেদের দুটি মন্ত্রিত্ব দেওয়া হতে পারে। জিতন রাম মাঞ্জির দলকেও মন্ত্রিত্ব দেওয়া হতে পারে। এখনও পর্যন্ত মন্ত্রিসভা নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও মহাজোটের শরিকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন নীতীশ কুমার।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ছিল বিহারের রাজনীতিতে এক অভূতপূর্ব উত্থানের দিন। প্রথমে নীতীশ কুমার রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন এবং তারপর সরাসরি রাবড়ি দেবীর বাসভবনে গিয়ে তেজস্বী যাদবের সঙ্গে দেখা করেন। সেই বৈঠকে নীতীশ মহাজোটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং নতুন করে শুরু করার জন্য জোর দেন। এর পর নীতীশ ও তেজস্বী দুজনেই আবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান এবং তাঁর সামনে সরকার গঠনের দাবি পেশ করেন। মোট ১৬৪ জন বিধায়কের সমর্থনের চিঠি রাজ্যপালের কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল।
এরপর সংবাদমাধ্যমের সামনে নীতীশ কুমার বলেন, বিহারের সার্বিক উন্নয়নে সাতটি দল একত্রিত হচ্ছে। তেজস্বী যাদব বলেন যে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং বিহারের মানুষের প্রতি ন্যায়বিচার করতে এই সরকার গঠন করা হচ্ছে। তিনি বিজেপিকেও অভিযুক্ত করে বলেছেন যে, তারা অনেক রাজ্যে স্থানীয় দলগুলিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। পাঞ্জাব থেকে মহারাষ্ট্র, বহু রাজ্যে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা হয়েছে।
কিন্তু বিজেপি নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে জনাদেশ অবমাননার অভিযোগ তুলেছে। রবিশঙ্কর প্রসাদ থেকে গিরিরাজ সিং, বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকের পর নীতীশকে নিশানা করেছেন সবাই। গিরিরাজ সিং বলেছেন যে নীতীশ কুমারের উচ্চাকাঙ্ক্ষা জেগে উঠেছে। বিহারের মানুষ তাদের আবারও শিক্ষা দেবে।
অন্যদিকে, রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, নীতীশ আবারও জনাদেশের অবমাননা করেছেন। প্রসাদ আরও প্রশ্ন তুলেছেন যে এক সময় নীতীশই যে লালু রাজকে জঙ্গলরাজ বলছিলেন, তিনি এই কারণে মহাজোট থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কিন্তু এখন আবার তিনি একই লোকের সাথে হাত মিলিয়েছেন। এটা জনগণের দেওয়া জনাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।