''নো ভ্যাক্সিন, নো এন্ট্রি'' : সিকিমের পর ঘোষণা অরুণাচলপ্রদেশে

কোভিড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেওয়া না থাকলে অরুণাটল প্রদেশে প্রবেশের অনুমতি মিলবে না। পর্যটক হোক কিংবা বিভিন্ন কাজের জন্য আসা যে কোনও কেউ। টিকা ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ঘোষণা রাজ্য সরকারের।

Advertisement
''নো ভ্যাক্সিন, নো এন্ট্রি'' : সিকিমের পর ঘোষণা অরুণাচলপ্রদেশে ইটা ফোর্ট
হাইলাইটস
  • নো ভ্যাক্সিন, নো এন্ট্রি ঘোষণা অরুণাচলপ্রদেশে
  • যে কোনও প্রকারে টিকাকরণে জোর
  • কেন্দ্রকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে তারা

নো ভ্যাক্সিন, নো এন্ট্রি

সিকিমের পর এবার অরুণাচল প্রদেশ। রাজ্যের সরকার ঘোষণা করেছে, কোভিড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেওয়া থাকলে তবেই সে রাজ্যে প্রবেশের অনুমতি মিলবে। পর্যটক হোক কিংবা বিভিন্ন কাজের জন্য আসা যে কোনও কেউ। টিকা ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

টিকা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই

পাশাপাশি করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে অরুণাচল প্রদেশ সরকার কড়া মনোভাব নিয়েছে। রাজ্যে টিকাকরণ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই ১৮ বছরের উর্ধ্বে ৬৮ শতাংশ মানুষের। বাকিদেরও দ্রুত টিকার আওতায় আনা হয়ে যাবে বলে আশা করছেন তাঁরা।

কেন্দ্রকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে

অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যসচিব নরেশ কুমার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লাকে একটি বৈঠকে জানিয়েছেন কেউ যদি অরুণাচল প্রদেশে আসতে চায়, তাঁকে আগে দুটি টিকা নিয়ে সেই শংসাপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় আপাতত তাদের রাজ্যে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। রাজ্যের মানুষের সুরক্ষার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

ত্রিমুখী স্ট্র্যাটেজি সরকারের

তিনি জানান রাজ্য সরকার ত্রিমুখী স্ট্র্যাটেজি নিয়ে করেনা আটকাতে চাইছে। তার মধ্যে প্রথম হল এক্সটেন্সিভ ট্র্যাকিং এবং পরীক্ষা। দ্বিতীয় করোনা বিধি কঠোরভাবে মেনে চলা এবং তৃতীয়ত সম্পূর্ণ টিকাকরণ।

টিকাকরণে উৎসাহ দিতে পুরস্কার

টিকাকরণের উৎসাহ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম প্রকল্প চালু করেছে অরুণাচল প্রদেশ সরকার। ৪৫ বছরের উর্ধ্বে যারা টিকা নেবেন, তাঁদের প্রত্যেককে কুড়ি কেজি চাল দেওয়া হবে বলে রাজ্যের সুবনসিঁড়ি জেলা থেকে ঘোষণা করা হয়।

পর্যটন স্বাভাবিক হতে বিলম্ব, হতাশা

মনিপুর এবং মেঘালয়ের কয়েকটি রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের ঢঙেই নগদ অর্থ পুরস্কার হিসেবে দিয়েছে টিকার বিনিময়ে। তবে গোটা উত্তর পূর্ব পর্যটন সার্কিট সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও মুষড়ে পড়েছে। দীর্ঘ বিরতির পর ছন্দে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে পর্যটনকে। সিকিম-অরুণাচল প্রদেশ-অসম-উত্তরবঙ্গ-মেঘালয়-মণিপুর ও নেপাল-ভুটানকে মিলিয়ে একটি পর্যটন সার্কিট সক্রিয়। ফলে এক লপ্তে সব জায়গায় সমানভাবে বিচরণের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘতর হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement